সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন এলেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করে, তাদের কপালে ভাঁজ পড়ে।
“আমরা এটা আর দেখতে চাই না। ইসিকে বলেছি শক্তভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সম্প্রীতি বাংলাদেশের মতো অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো সহায়তা করবে, ইসি সহমত পোষণ করেছে।”
বৈঠকে শেষে আহ্বায়ক জানান, মতবিনিময়কালে নির্বাচন পূর্ব, নির্বাচনোত্তর সহিংসতার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা বলেছি, ২০০১ এর ব্ল্যাক অক্টোবর আর বাংলাদেশে দেখতে চাই না। যে ভয়াবহতা, নৃশংসতা, যে অত্যাচার হয়েছিল তা প্রায় ৭১ সালকে মনে করিয়ে দেয়। সে জিনিসগুলো আমরা বাংলাদেশ থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চাই।”
যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে তাদের সরকারে এবং কোনো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় না সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
“আমরা ঘর পোড়া গরুর মতো, অতীতের অভিজ্ঞতা আমাদের ভয় থেকে এসেছি। সাবধানের কোনো মার নেই।… ২০০১ সালে আমরা সারাদেশ ঘুরে নির্যাতন, পাশবিকতার চিহ্ন দেখেছি, বর্বরতার চিহ্ন দেখেছি” বলেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় তারা।
“আমরা চাই এদেশে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী নির্বাচনমুখী হোক এবং এবারের ভোটারদের মধ্যে তরুণ বেশি। তাদের আমরা নির্বাচনমুখী করতে বলেছি। এজন্য কেবল ইসি নয়, দলগুলোরও একটা ভূমিকা আছে। সামাজিক সংগঠন, মিডিয়ার ভূমিকাও ফেলে দেওয়া যায় না।”
তিনি জানান, ভোটের উৎসব যদি তরুণদের মধ্যে ফিরিয়ে আনা গেলে তবে অচিরেই একটি কলুষমুক্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া আসবে।
মমতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।