চার দেশ সফর শেষে ফিরেই ইসরায়েলকে যে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি মন্ত্রী

0

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের জেরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যে। এরই মধ্যে ওই অঞ্চলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এনেছে এই যুদ্ধ। সংঘাত যেকোনো সময় আরো বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে, চলমান এই যুদ্ধের মধ্যেই ওই অঞ্চলের চারটি দেশ সফর করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। দেশগুলো হলো- ইরাক, লেবানন, সিরিয়া ও কাতার।

টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, “আঞ্চলিক সফরে আমি এসব দেশের সরকার ও প্রতিরোধ ফ্রন্টগুলোর সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, তারা রাজনৈতিক উপায়ে চলমান সংকটের সমাধান চান। কিন্তু তা যদি সম্ভব না হয় এবং গাজাবাসীর ওপর যদি ইসরায়েলি পাশবিকতা অব্যাহত থাকে তাহলে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কিছু ঘটে যাওয়া সম্ভব।”

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “লেবাননের হিজবুল্লাহসহ সবগুলো প্রতিরোধ গ্রুপ তাদের সূক্ষ্ম বিবেচনায় সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিরোধ নেতারা ইসরায়েলকে যা খুশি তাই করার অনুমতি দেবেন না। তারা যেকোনো সময় আগাম হামলা চালিয়ে বসতে পারেন।”

হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “আজ যদি আমরা গাজা উপত্যকাকে রক্ষা না করি তাহলে আমাদেরকে একদিন নিজেদের শহরগুলো রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ করতে হবে।”

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ তাকে বলেছেন- আজ যদি হিজবুল্লাহ আগাম ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামীকাল তাকে বৈরুতে ইসরায়েলি সেনাদের মোকাবিলা করতে হবে।”

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপে একথা জানিয়েছেন যে, জাতিসংঘ যদি ইসরায়েলের লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হয় তাহলে তেল আবিবের বিরুদ্ধে নতুন নতুন ফ্রন্ট খুলে যাওয়াটা অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, একটি বিস্তৃত যুদ্ধ জেরুজালেম দখলদার ইসরায়েলের ভৌগলিক মানচিত্রকে বদলে দেবে।

সাক্ষাৎকারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও সতর্ক করে দেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমেরিকা নিজে যখন ইসরায়েলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে তখন তারা অন্য পক্ষগুলোকে সংযম প্রদর্শন করার আহ্বান জানাতে পারে না। 

তিন বলেন, “আমরা আমেরিকাকে আগেও বলেছি এবং এখন আবার সতর্ক করে দিচ্ছি, তারা ইসরায়েলি অপরাধীদের পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার একই সময়ে বাকি পক্ষগুলোকে হাত গুটিয়ে বসে থাকার আহ্বান জানাতে পারে না। আমেরিকার পক্ষ থেকে এ ধরনের বার্তা পাঠানোর দিন শেষ হয়ে গেছে।”

ওয়াশিংটনকে উদ্দেশ করে আমির-আব্দুলাহিয়ান বলেন, “আমি  আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি এ ধরনের ভণ্ডামিপূর্ণ বার্তা পাঠানোর পরিবর্তে গাজার নারী ও শিশুদের রক্তপাত বন্ধ করার ব্যবস্থা নিন।” সূত্র: প্রেসটিভি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here