কক্সবাজারের চকরিয়ায় হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে সোহেল উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাত উজ জামান এর উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবআজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাত উজ জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, বিএমচর ইউনিয়নরে ৮নম্বর ওয়ার্ড পাহাড়িয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা সোহেল উদ্দিন চকরিয়া পৌরশহরের থানা রাস্তার মাথা এলাকায় হোসাইন মার্কেটে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। পরিচয়ের সূত্র ধরে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড এলাকার প্রবাসী মো. নবী হোসেন এর স্ত্রী কাউছার আক্তার সুমির সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। সোহেল উদ্দিন চকরিয়া হাই স্কুল রোড়ে সুমির ভাড়া বাসায় আসা যাওয়া করত। এক পর্যায়ে টাকা লেনদেনের বিষয়ে সুমি অপরাপর আসামীদের যোগসাজসে সোহেল উদ্দিনকে ডেকে নিয়ে মারধর করে। পরে তিনি গুরুতর আহত হলে সুমি তার সহযোগীসহ সোহেল উদ্দিনকে স্থানীয় জমজম হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়। পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে সোহেলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করলে জানায়, এক নারী ও কয়েকজন পুরুষ সোহেল নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সমায় তারা বলেন, সোহেল স্ট্রোক করেছেন।
বাদী অভিযোগে আরো দাবী করেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ প্রভাবশালীদের কারণে মামলা নেয়নি।
এদিকে আদালতে মামলা দায়েরের পর আদালতের বিচারক আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত দেন।
কক্সবাজার জেলা সিআইডির পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করেন। এক পর্যায়ে তিনি মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলনের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে লাশ উত্তোলনের অনুমতি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রদান করেন। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাত উজ জামানের এর উপস্থিতিতে সোহেলের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।