চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষেধ

0

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। যদিও এসময়ে চাঁদপুরে ৪৪ হাজার ৩৫ জন জেলে বেকার হয়ে পড়বে। জেলেরা নদীতে নামবে না প্রতিশ্রুতি দিলেও পার্শ্ববর্তী জেলার জেলেরা যাতে এখানে এসে মাছ ধরতে না পারে সরকারের কাছে তারা সেই দাবি জানান। 

মৎস্য বিভাগ বলেছে, এবার জেলেদের ৫ কেজি করে বেশি চাল বরাদ্দ দিয়েছে। মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কোটি জাটকা জনতায় যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে মৎস্য বিজ্ঞানী। মা ইলিশ রক্ষায় ইতোমধ্যে মৎস্য বিভাগ বিভিন্ন প্রচারনা, সেমিনার ও মাইকিং, লিফলেট বিতরণের নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন  প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জেলেদের সাথে সচেতনতামূলক একাধিক সভা সেমিনারসহ জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সাথে সভা করেছে মৎস্য বিভাগ। এবার নির্দিষ্ট সময়ে জেলেদের ২০ কেজির পরিবর্তে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে। মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, ৪৪ হাজার ৩৫ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। তবে আইন লঙ্ঘনকারীদের  বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড কিংবা  ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।

ইলিশ গবেষক ও মৎস্য বিজ্ঞানী ড. অনিসুর রহমান জানান, পরিভ্রমণশীল ইলিশ মাছ অক্টোবর মাসে ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে নদীতে চলে আসে। যদি এসময়ে মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে অর্থাৎ ১০% সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কোটি জাটকা জনতায় যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতবছর মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রম সফল হওয়ায় এবার ইলিশের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। আশা কারছি সামনে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম আরো সফল হবে। গত বছরের ন্যায় এবারও জেলে ও ব্যবসায়ীরা একইভাবে জেলা টাস্কফোর্সকে সহযোগীতা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here