পিঠের ব্যথায় করণীয়

0

আমরা বেশিরভাগ মানুষ প্রায়শ পিঠের ব্যথা অনুভব করি। নানান কারণে এ ব্যথা অনুভূত হয়। অনিয়ন্ত্রিত জীবন, পুষ্টির অভাব, সুষম খাদ্য না খাওয়া, কাজের অতিরিক্ত চাপ, স্বাস্থ্য অসচেতনতা প্রভৃতি কারণে আমারা নিয়মিত পিঠে ব্যথা অনুভব করি। তবে দৈনন্দিন কাজের ফাঁকেও নানা ভাবে পিঠের ব্যথা কমানো যায়।

ঠান্ডা-গরম সেক : হঠাৎ ব্যাথা পেলে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে আইস প্যাক। দিনে দুই-তিনবার ১৫-২০ মিনিট করে ঠান্ডা সেক দিলে ব্যথা কমে যাবে। ধীরে ধীরে ব্যথা কমে এলে দিতে হবে গরম সেক। এতে বেশ ফলপ্রসূ হবে।

স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ : যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন তাদের পিঠ ও কোমরের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যায়, তাই কিছু পিঠ ও কোমরের মাংসপেশির স্ট্রেন্থেনিং বা শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী করলে মাংসপেশির শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যথা কমে যাবে।

সোজা হয়ে বসুন : চেয়ারে একেবারে পিঠ টানটান করে সোজা হয়ে বসতে হবে। সামনের দিকে ঝুঁকে বা কুঁজো হয়ে বসলে পিঠের ওপর বেশি চাপ পড়ে, তাতে ব্যথা হয়। যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন, তারা চেয়ারে একটি ব্যাক সাপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনাকে সোজা হয়ে বসতে সাহায্য করবে এবং ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

বালিশের সঠিক ব্যবহার : আমরা সাধারণত মাথার নিচে বালিশ দিয়ে থাকি যার ফলে আমাদের ঘাড়ের স্বাভাবিক বক্রতা কমে যায়, ফলে ব্যথা হয়, বালিশ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম হলো একটি মধ্যম সাইজের বালিশ অর্ধেকটুকু মাথার নিচে বাকি অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেওয়া, তাহলে ঘাড়ের স্বাভাবিক বক্রতা ঠিক থাকে এবং ঘাড়-পিঠে ব্যথা অনেকাংশে কমে যায়।

লেখক: চেয়ারম্যান, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল ধানমন্ডি, ঢাকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here