৬৮ টি ছোট ও বড় স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারির মরদেহ উদ্ধার করেছে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি। রবিবার বিকাল চারটার দিকে চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা নদী থেকে এই চোরাকারবারি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত চোরাকারবারি চুয়াডাঙ্গা দর্শনা নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলির ছেলে মিরাজ হোসেন (২২)। আরেকজন চোরাকারবারি মাথাভাঙ্গা নদী থেকে উঠে পালিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা দর্শনা বারাদী সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান হবে। এই রকম বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধীনস্থ বারাদী বিওপির টহলদল সীমান্ত এলাকায় টহল তৎপরতা জোরদার করাসহ কড়া নজরদারী বৃদ্ধি করে। এসময় আনুমানিক চারটার দিকে টহলদল বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ২ জন স্বর্ণ চোরাকারবারি স্বর্ণসহ সীমান্ত পিলার ৮০/১-আর নিকট দিয়ে মাথাভাঙ্গা নদী পার হবে । এসময় ভারতে যাওয়ার সময় আনুমানিক ২৫ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১ জন চোরাকারবারি পানিতে ডুবে যায়। অপর চোরাকারবারি নদী থেকে উঠে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান সার্বিক দিক নির্দেশনায় বারাদী বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেন টহল দল নিয়ে দ্রুত উপস্থিত হয়ে স্থানীয় জনসাধারণের প্রচেষ্টায় ডুবে যাওয়া চোরাকারবারীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর বিজিবি টহল দল মৃত চোরাকারবারির শরীরে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম (৮৭৯.৮৮ ভরি) ওজনের ছোট বড় ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।