বাজার নিম্নমুখী হওয়ায় বেগুন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

0

দিনাজপুর অঞ্চলে টানা কয়েকদিনের বর্ষণের পানিতে ফসলের মাঠে জলাবদ্ধতায় বেগুনসহ অনেক গাছের ক্ষতি হয়েছে। অনেক গাছও মরে গেছে। এ ছাড়াও চলতি মৌসুমে জ্বালানি তেল, রাসায়নিক সার, কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং পাইকারি বাজারে বেগুনের দাম নিম্নমুখী হওয়ায় এবার বেগুনের ফলন ভালো হলেও দাম ভাল না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক।

জেলায় খানসামা ও বীরগঞ্জে বেশি বেগুন চাষ হয়। অধিক মুনাফার আশায় প্রতিবছর আগাম জাতের বেগুন চাষ করেন কৃষকরা। আগাম বেগুন চাষে বেশ লাভবান হন তারা। মৌসুমের প্রথমদিকে বেগুনের বাজার দর ভালো পাওয়ায় কৃষকের চোখে-মুখে হাসি দেখা দেয়। কিন্তু গত সপ্তাহ ধরে হঠাৎ বেগুনের বাজার দর নেমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বেগুন চাষিরা। তবে খুচরা বাজারে খুব বেশি দাম না কমলেও মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে বেশি।

খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউপির সুবর্ণখুলি গ্রামের বেগুনচাষি শেফাউল ইসলাম জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিবছর বেগুনচাষ করেন। এ বছর ৩ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ক্ষেতের বেগুন বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু বাজারে বেগুনের দর কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা।

বেগুনচাষি আবু তালেব জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। বেগুন উৎপাদনে প্রতিবিঘা জমিতে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ক্ষেত রোগমুক্ত, বাজারদর ভালো ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতিবিঘা জমির বেগুন প্রায় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকায় বিক্রি হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিবিঘা জমির বেগুন বিক্রি করে ৬০-৭০ হাজার টাকা লাভ হয়। এবছর বেগুনচাষে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বাজারদরও নিম্নমুখী।

খানসামা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ উপজেলার মাটি বেগুন চাষের জন্য উপযোগী। বেগুনচাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ ও বিভিন্ন সহযোগিতা করায় উপজেলায় চাষিরা বেগুনচাষে ঝুঁকে পড়েছেন। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৪০ হেক্টর জমিতে বেগুনচাষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ কৃষক বেগুন বিক্রি শুরু করেছেন। এ উপজেলার উৎপাদিত বেগুন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন কৃষকরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here