বেড়েছে হ্রদের পানি, রাঙামাটির সংযোগ বাঁধ ধসের শঙ্কা

0

টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল। দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি। এরই মধ্যে কানায় কানায় ভরপুর হ্রদ তীরবর্তী এলাকা। হুমকির মুখে পড়েছে রাঙামাটি শহরের একমাত্র সংযোগ সড়ক বাঁধ। যা স্থানীয়দের কাছে ফিসারি বাঁধ নামে পরিচিত। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। তাই তলিয়ে যাচ্ছে হ্রদ তীরবর্তী নিন্মাঞ্চল। প্লাবিত হচ্ছে বসতঘর ও ফসলি জমি। একই সাথে ঝুঁকিতে পরেছে রাঙামাটি শহরের সাথে একমাত্র সংযোগ সড়ক বাঁধটিও। তাই উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। তবে এরই মধ্যে বাঁধের উপর যানচলাচলের জন্য লাল পতাকা দিয়ে সর্তকতা জারি করেছে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। 

অভিযোগ রয়েছে অনেক বছর আগে রাঙামাটি শহর রক্ষাকারী ফিসারি বাঁধটি নির্মাণ হলেও স্থায়ীভাবে হয়নি একবারও সংষ্কার। তাই অযত্ন আর অবহেলায় কাপ্তাই হ্রদ গর্ভে বিলিন হচ্ছে বাঁধের পাড় আর পর্যটক আর্কষণকারী বৃক্ষগুলো। এই মধ্যে বাঁধের পাড় ভেঙে ছোট হয়ে এসেছে সড়কও। তাই সর্তকর্তা জারিও করা হয়েছে। 

স্থানীয় মো. সোহেল বলেন, এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে যে কোন মুহূর্তে বাঁধ ধসে বিলিন হতে পারে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে। তখন রাঙামাটিবাসীর জন্য মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়াবে এ সড়ক। 

রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢেউয়ের কারণে বল্লাপ্লাং আর বালির বস্তা দিয়ে বাধ রক্ষা করার কাজ অব্যাহত আছে। সড়কে লাল পতাকা দিয়ে গাড়ি চলাচলের বিষয়েও সড়ক করা হয়েছে। এখন সাময়িকভাবে বাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হবে। পানি কমে গেলে স্থায়ীভাবে রিটার্নিং ওয়ালের কাজ শুরু করা হবে। এরই মধ্যে ২৯৯ মিটার ওয়াল নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ৩৬৪মিটার ওয়াল নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এটা একটা প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ীত হচ্ছে। আশা করি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে ফিসারি বাঁধের ভাঙন স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ করা যাবে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here