ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে ঝর্ণা বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ছোট হামিরদী গ্রামের শাহাবুদ্দিন শেখের স্ত্রী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, টিনের ঘরে গাছ ভেঙে পড়ায় চাল ভেঙে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর।
এছাড়া ঝড়ে আজিমনগর ইউনিয়নের পুকুর পাড়, কর্ণিকান্দা, তাড়াইল, ঈশ্বর্দী গ্রাম, চান্দ্রা ইউনিয়নের পুলিয়া গ্রাম এবং হামিরদী ইউনিয়নের ছোট হামিরদী, বড় হামিরদী গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় কয়েকশত গাছ ভেঙে যায়। ঢাকা -বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী এলাকায় কয়েকটি বড় গাছ ভেঙে পড়ায় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল প্রায় দেড় ঘণ্ট বন্ধ ছিল। পরে ভাঙ্গা দমকলবাহিনীর সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
আজিমনগর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান হাওলাদার বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এক মিনিটের ঝড়ে আমার ইউনিয়নের চারটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে কর্নিকান্দা গ্রামে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। ঝড়ে টিউবয়েল উঠিয়ে নিয়ে গেছে। টিনের ঘরের চাল উড়ে গেছে। গাছ উপড়ে পড়েছে।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তুলকদার আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে আজিম নগর ইউনিয়নের ৩০টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, দুই কেজি করে ডাল, এক লিটার করে তেল বিতরণ করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত বাকিদের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে পরে টিনও বিতরণ করা হবে।