স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলেও বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয় পাকিস্তানকে। কিউয়িদের বিরুদ্ধে রিজওয়ানের ১০৪ ও বাবর আজমের ৮০ রানের অনবদ্য ইনিংস দু’টি ব্যর্থ হয় দল হেরে বসায়। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও হারের মুখ দেখতে হলো পাকিস্তানকে। যদিও এবারও পাক ব্যাটাররা ব্যক্তিগতভাবে নজরকাড়া পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) হায়দরাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বড় রানের ইনিংস তাড়া করতে নেমে তীরে এসে তরী ডুবে যায় পাকিস্তানের। একসময় জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে ফেলা বাবর আজমদের থামতে হয় লক্ষ্যের খুব কাছে এসে। তবে বাবর আজম অস্বস্তি বোধ করে উঠে না গেলে হয়তো ফলটা অন্যরকমও হতে পারতো।
অস্ট্রেলিয়ার পার্টটাইম স্পিনার মার্নাস লাবুশেন নেন ৩টি উইকেট। দুইটি করে উইকেট শিকার প্যাট কামিন্স আর মিচেল মার্শের। এর আগে ব্যাটিংয়ে দলগত পারফরম্যান্স দেখায় অস্ট্রেলিয়া। মাত্র দুজন ব্যাটার ফিফটি করলেন, সঙ্গে বাকিদের প্রচেষ্টা মিলে ৭ উইকেটে ৩৫১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় অসিরা।
রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। শুরুতেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিশেল মার্শ। ওপেনিং জুটিতে ১২.২ ওভারে ৮৩ রান পায় অসিরা। ১৩ম ওভারের শেষ বলে রান মেশিন ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিফটি থেকে বঞ্চিত করেন উসামা মীর। ৩৩ বলে ৪৮ রান করে হারিস রউফের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়ার্নার। ১৫তম ওভারে বল করতে এসে অস্ট্রেলিয়ার শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন উসামা। পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে ফেরান এই লেগস্পিনার। দেখেশুনে খেলতে থাকা মিচেল মার্শকে (৪৮ বলে ৩১) ইফতেখারের ক্যাচ বানান তিনি। দারুণ ছন্দে থাকা ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন খেলেছেন ৩১ বলে ৪০ রানের ইনিংস। বড় লক্ষ্য সংগ্রহে অবদান রাখতে গিয়ে ব্যর্থ হন স্টিভেন স্মিথ। ২৯ বলে ২৭ রান নিয়ে হারিস রউফের শিকার হন তিনি। ১১ রান করে রানআউট হয়ে যান উইকেটরক্ষক ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যার। ১৭২ রানে ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ক্যামেরন গ্রিনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটে অস্ট্রেলিয়া। ৭১ বলে ৭৭ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। ৪০ বলে ৫০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ক্যামেরন গ্রিন। ডেথ ওভারে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় সংগ্রহ এনে দেন জশ ইংলিশ। ৩০ বলে ৪৮ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৩৫১ রানের বড় সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানি লেগি উসামা মীর ৩১ রান খরচা করে শিকার করেছেন ২ টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান হারিস রউফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ।