মালয়েশিয়ার প্রদেশে প্রদেশে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে র‌্যালি

0

নবীর প্রতি ভালোবাসা উজ্জীবিত করতে কুচকাওয়াজ ও ‘সেলাওয়াত’ (হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রশংসা) সহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও মালয়েশিয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ার পুত্রজায়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (পিআইসিসি) এ উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ১৩১টি দলের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজের মাধ্যমে শুরু হয়।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম এবং তার স্ত্রী দাতিন সেরি ড. ওয়ান আজিজাহসহ মন্ত্রী পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।

এসময় রাজা ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগাং আল-সুলতান আবদুল্লাহ রিয়াতুদ্দিন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ তার বক্তব্যে বলেন, মালয়েশিয়া তখনই শতভাগ সফল হবে যখন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর বিশুদ্ধ বাণী, আদর্শ এবং এবং ওনার সঠিক মূল্যবোধ বাস্তবায়িত হবে এবং আমরা তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলব।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (ধর্ম বিষয়ক) দাতুক মোহাম্মদ না’র নেতৃত্বে পুত্রাজায়ার সেরি জেমিলাং ব্রিজ থেকে পিআইসিসি পর্যন্ত ১.১ কিলোমিটার মিছিলে ১৩১টি কন্টিনজেন্টের মন্ত্রণালয়, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থার মোট ৩৭শ জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করেন।

এসময় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিবর্গ বাজু মেলায়ু পরিহিত এবং হাতে এই বছরের থিম সমন্বিত একটি প্ল্যাকার্ড বহন করেন, সেইসাথে মুখে “সেলাওয়াত” (হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রশংসা) পাঠ করতে থাকেন।

মালয়েশিয়ার ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের (জাকিম) মহাপরিচালক দাতুক হাকিমাহ মোহম্মদ ইউসুফ বলেছেন, এই বছরের থিম এই দেশের মুসলিম এবং অমুসলিমদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। যেহেতু ঐক্য একটি সভ্য সমাজের মেরুদণ্ড, কেবল বস্তুগতভাবে নয়, বুদ্ধি ও আধ্যাত্মিকভাবেও। জাতীয় পর্যায়ের মিলাদুন্নবী (স.) মিছিলটি সর্বশেষ ২০১৯ সালে এখানে বুকিত জলিলের অ্যারেনা আজিয়াটাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এদিকে, দেশটির জহুর, মালাকা, নেগ্রি সেম্বিলান, তেরেংগানু, পেরাক, পাহাং এবং সেলংগর রাজ্য স্তরে উদযাপনটিও প্রাণবন্ত ছিল। সকাল থেকে সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) মিছিলে অংশ নিয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here