জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে বিশেষ সম্মান জানিয়ে ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বরো হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হলো। এ সময় বরো প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডনাভ্যান জুনিয়র প্রবাসী বাঙালিদের আবেগ আর অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থায়ী একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য দেড় মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের ঘোষণা দেন।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিউইয়র্ক সিটির পার্ক ডিপার্টমেন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই যোগাযোগ শুরু করেছেন বলেও উল্লেখ করেন ডেমক্র্যাটিক পার্টির এই বরো প্রেসিডেন্ট।
স্বাধীনতা দিবসের এ অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে কন্সাল জেনারেল ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বরো প্রেসিডেন্টের প্রতি। ড. মনিরুল বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, শহীদ মিনারটি হতে হবে অবিকল বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে।
উল্লেখ্য, রমজানের কারণে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান কদিন আগেই করলো কুইন্স বরো। এই বরোতে ১৬০ ভাষাভাষীর মানুষ বাস করলেও বাংলাদেশিরা বিশেষ একটি স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে বলে বরো প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন। ইউএস সিনেটের লিডার সিনেটর চাক শ্যুমারও শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রবাসীদের কর্মনিষ্ঠার প্রশংসাকালে বলেন, আমরা খুবই ধন্য যে, এই সিটিতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বাস করছেন। সিটির সামগ্রিক উন্নয়ন আর কল্যাণে তাদের অবদান অপরিসীম।
কম্যুনিটির জন্যে বিশেষভাবে নিবেদিত থাকায় কুইন্স বরো প্রেসিডেন্টকে লাল-সবুজের উত্তরীয় পড়িয়ে দেন বাংলাদেশ সোসাইটির সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিদ্দিকী।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বিপা, বহ্নিশিখা, শিল্পকলা একাডেমি, শিল্পাঙ্গনের শিল্পীরা দেশের গান পরিবেশন করেন। মুক্তিযুদ্ধের আবহ তৈরীর অভিপ্রায়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তবলাবাদক তপন মোদকের সাথে সিতারে ছিলেন অপু। মিলনায়তন প্রাঙ্গনে ৫২ বছরের বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের আলোকে পুস্তিকা প্রদর্শন করা হয়। ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট লিটন আহমেদ এ সময় সুধীজনের সাথে বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশের প্রসঙ্গ আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের মধ্যে ছিলেন লাবলু আনসার, রাশেদ আহমেদ, আবুল বাশার চুন্নু, গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, আবু জাফর মাহমুদ প্রমুখ।