জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য রাশিয়ার হাতে থাকা ভেটো ক্ষমতা সংস্থাটিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, “জাতিসংঘের ছয়টি প্রধান অঙ্গের অন্যতম জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, যা বর্তমানে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে সংস্থাটির স্থায়ী সদস্য রাশিয়ার হাতে থাকা ভেটো ক্ষমতা। আগ্রাসনকারীর হাতে ভেটো ক্ষমতা জাতিসংঘকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি বলেছেন- কোনও দেশে আগ্রাসনের বিষয়ে জাতিসংঘ অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে এবং ইউক্রেন আক্রমণের শাস্তি হিসেবে রাশিয়ার হাতে থাকা ভেটোর অধিকার কেড়ে নিতে হবে। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়া ভেটো ক্ষমতা পেয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, “বিশ্বের সবাই দেখতে পাচ্ছেন ঠিক কোন বিষয়টি জাতিসংঘকে অকার্যকর করে তুলেছে। নিরাপত্তা পরিষদের এই আসনটি রাশিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পর্দার আড়ালে কারসাজির কারণে অবৈধভাবে দখল করেছে। (রাশিয়ার) এই আসনে মিথ্যাবাদীরা বসে আছে যাদের কাজ রাশিয়ার সংঘটিত আগ্রাসন এবং গণহত্যাকে ন্যায্যতা দেওয়া।”
তিনি বলেন, “আগ্রাসনকারীর হাতে ভেটো ক্ষমতা জাতিসংঘকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। আপনি যেই হোন না কেন, জাতিসংঘের বিদ্যমান ব্যবস্থা এখনও আপনাকে ভেটো ক্ষমতার চেয়ে কম ক্ষমতা দেয় যা মাত্র কয়েকজনের হাতে আছে এবং তাদেরই একটি হচ্ছে রাশিয়া। আর এটিই দেশটি (রাশিয়া) জাতিসংঘের অন্য সকল সদস্যদের ক্ষতির জন্য ব্যবহার করে।”
ইউক্রেনের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতিসংঘের সংস্কার নিয়ে বহু বছর ধরে আলোচনা চলছে এবং তাই এই বিষয়টি জাতিসংঘের সংস্কারের প্রক্রিয়া হওয়া উচিত। ভেটোর ব্যবহারেরও সংস্কারের প্রয়োজন এবং এটি প্রধান সংস্কার কাজ হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। এরই মধ্যে দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চল দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। সূত্র: আল জাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ফোর্বস