ময়মনসিংহের ফুলপুরে চোরাই মোটরসাইকেলসহ মো. মনিরুল ইসলাম ও মো. আজাদ মিয়া (৩২) নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। মনিরুলকে গত বৃহস্পতিবার ও আজাদ মিয়াকে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, ফুলপুর পৌরসভার চরকাজিয়াকান্দা গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের পুত্র আশরাফ উল করিম (৪৫) গত ৩১ আগস্ট বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বাসার সামনে তার মোটরসাইকেলটি রেখে খাবার খেতে যান। পরে ৫টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলটি আর পাননি। বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুজির পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে এ বিষয়ে ফুলপুর থানায় তিনি পেনাল কোডে একটি মামলা দায়ের করেন।
এসআই মোফাখখির সঙ্গীয় এএসআই আলমগীর হোসেন ও কনস্টেবল সোহেল রানাকে নিয়ে মামলাটি তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে যান এবং আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঘটনার সাথে জড়িত আসামি মনিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন। এরপর মনিরুলের দেওয়া তথ্য মতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এই চুরির ঘটনায় পিছনে জড়িত বেশ কিছু চোরের তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়।
এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোফাখখির বাদী আশরাফ উল করিমকে সাথে নিয়ে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল ও চোরদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে তথ্য প্রমাণ ও প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে আসামি মো. আজাদ মিয়াকে নেত্রকোণা সদর থানা পুলিশের সহায়তায় তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আজাদ নেত্রকোণার সদর উপজেলার মেদনী (বড়ওয়ারী) গ্রামের আবু চান মিয়া ও হাওয়া আক্তার খাতুনের ছেলে। পরে তার হেফাজত হতে বাদী চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি সনাক্ত করলে পুলিশ তা উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলটির প্রকৃত চেসিস ও ইঞ্জিন নাম্বার পরিবর্তন করে আসামি নতুন করে মোটরসাইকেলের চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর এবং নতুন স্মার্ট রেজিস্ট্রেশন কার্ড তৈরি করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামি মনিরুল ও আজাদকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উভয় আসামির জন্য বিজ্ঞ আদালতের নিকট ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। মোটরসাইকেল চোর চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্যদেরকেও ধরতে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।