র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের অধিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। কমিশন যেভাবে পরিচালনা করে, র্যাব সেভাবে দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব মূলত এটাই হবে, সাধারণ মানুষ যেন কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। এই আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে র্যাব দৃঢ়ভাবে দায়িত্ব পালন করবে। আর এ ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে র্যাব মানষিকভাবে প্রস্তুত আছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলার সরকার পাড়ায় র্যাব-৯ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানির ক্যাম্প উদ্বোধনকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, র্যাবের মূল লক্ষ্যই দেশের জনগণের নিরাপত্তায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করা। এদেশে যাতে জঙ্গিরা স্থায়ী না হতে পারে, সন্ত্রাসীরা যাতে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে সে লক্ষ্য নিয়েই র্যাব নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেজন্য দেশের মানুষের মধ্যে দিন দিন র্যাবের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস বাড়ছে।
দেশের জন্য সকলে মিলেই কাজ করতে হবে। দেশের জন্য এবং পরবর্তী জেনারেশনকে বাঁচাতে হলে মাদকের ব্যাপারে সকলে একসাথে কাজ করতে হবে। একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে দেশে মাদক প্রবেশ করাচ্ছে। এ ভাবে মাদক প্রবেশ করতে থাকলে আগামী ১০ বছর পর এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা কোন বাহিনীতে কাজ করতে পারবে না। তারা মাদকে আসক্ত থাকবে। এখন শুধু ছেলেরাই মাদকে জড়াচ্ছে এমন না। এখন উচ্চ শ্রেণী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণিরা মেয়েরাও মাদকে আসক্ত হচ্ছে বেশি।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল মোঃ মাহাবুব আলম, (র্যাব) এর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ খান রফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার প্রমূখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে র্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিজিবি’র সিও, পুলিশের কর্মকর্তারা, সিভিল সার্জন, জেলার বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।