জি-২০ ঘোষণাপত্রে যা আছে

0

ভারতের নয়াদিল্লিতে সদস্য দেশগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে ‘দিল্লি ঘোষণাপত্র’ গৃহীত হয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের প্রত্যয়ও রয়েছে। রাশিয়ার নাম না উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর বার্তা।

গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় কোনো যৌথ ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয় জি-২০ জোটের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক। এমনকি গত মার্চে জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকেও যৌথ ঘোষণা আসেনি। 

 তিনি আরও বলেন, ‘আমার অনুরোধ জি-২০-র নেতারা সম্মেলনের ঘোষণাপত্র গ্রহণ করবেন। এই কাজকে সম্ভব করার জন্য আমি সব মন্ত্রী ও শেরপাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

ঘোষণাপত্রে একাধিক বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। যেমন ‘সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট’ বা টেকসই উন্নয়নের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়েও বেশ কিছু লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য-সহযোগিতার কথাও বলা হয়েছে।

খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে এই ঘোষণাপত্রে। এই ঘোষণাপত্রে রাশিয়ার নাম না নিয়েও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। সীমান্ত দখল করার জন্য শক্তিপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার বার্তাও রয়েছে।

পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার বা তা ব্যবহারের হুমকি প্রদানকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখিত হয়েছে। এই বিষয়ে ঘোষণাপত্রে লেখা হয়েছে, ‘আমরা সব রাষ্ট্রকে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাসহ আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলো বজায় রাখার আহ্বান জানাই।’

 আরও বলা হয়েছে, ‘সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও সংকট মোকাবিলার প্রচেষ্টার পাশাপাশি কূটনীতি ও সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব অর্থনীতিতে যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবের মোকাবিলা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ‘এক পৃথিবী, একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যৎ’-এর চেতনায় দেশগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্রতিবেশীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।’ সূত্র: বিবিসি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here