২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফরমেটে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। মঙ্গলবার ফিফা কাউন্সিলে এই ফরমেট সম্পর্কে ঘোষণা দেয়া হয়। আগামী বিশ্বকাপ থেকে ৩২টির পরিবর্তে ৪৮টি দল অংশ নিবে। বর্ধিত কলেবরের এই টুর্নামেন্টে তিনটি করে দল ১৬টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলার কথা ছিল। কিন্তু সেই চিন্তা থেকে সরে এসে চারটি করে দল ১২টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গ্রুপ পর্বে খেলবে। কাতার টুর্নামেন্টে যেখানে হয়েছিল ৬৪টি ম্যাচ, এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ ম্যাচে।
বিশ্বকাপ জিততে হলে একটি দেশকে আটটি ম্যাচ খেলতে হবে। ১৯৭৪ সাল থেকে পুরনো ফরমেটে ফাইনাল পর্যন্ত একটি দলকে সাতটি ম্যাচ খেলতে হতো। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল ও শীর্ষ আট তৃতীয় স্থান দখলকারী দল নতুন প্রবর্তিত রাউন্ড অব ৩২’এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। এর মাধ্যমেই নক আউট পর্ব শুরু হবে। ১৯৯৮ সালের পর থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলগুলো বাদ হয়ে যেত। তখন ২৪ দল থেকে বাড়িয়ে দলের সংখ্যা ৩২ করা হয়েছিল।
ম্যাচের সংখ্যা :
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানডায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপে ম্যাচ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪টি, যা যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে অনুষ্ঠিত ৫২ ম্যাচের দ্বিগুন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপে সর্বমোট ৬৪টি ম্যাচ খেলা হতো। এর অর্থ হচ্ছে টেলিভিশন সম্প্রচারের সংখ্যাও বাড়বে, টিকিট বিক্রি বেশি হবে, যার ফলে ফিফার রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
পরিবর্তনের কারণ :
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ফিফা কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যুক্তরাস্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপের নির্ধারিত ফরমেটে পরিবর্তন আনা হবে। যেহেতু দলের সংখ্যা বাড়বে, তাই স্বাভাবিক ভাবেই ফরমেটেও পরিবর্তন আনাটা জরুরি। বিশ্বকাপের ফাইনালের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ জুলাই। মধ্যপ্রাচ্যের গরমের কথা বিবেচনা করে জুন-জুলাইয়ের প্রথাগত সময়ের পরিবর্তে কাতার বিশ্বকাপ নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু ২০২৬ বিশ্বকাপ আবারো তার স্বরূপে ফিরেছে, জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী বিশ্বকাপ।