পেনশন স্কিমে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে প্রথমত চাঁদার হার কমাতে হবে। দ্বিতীয়ত নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও সহজীকরণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রান্তিক প্রবাসীদের কাছে যথাযথভাবে তথ্য পৌঁছানোর দাবি জানান আমিরাতে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
শনিবার রাতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র আয়োজিত ‘প্রবাসীদের পেনশন স্কিম বাস্তবায়নের সহজ পথ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এমন দাবি তোলেন।
বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। গোলটেবিল বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সভাপতি শিবলী আল সাদিক। শুরুতে পেনশন স্কিমের উপর বিশেষ বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর আবদুস সালাম। বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর কামরুল হাসান, প্রথম সচিব (প্রেস) আরিফুর রহমান, প্রথম সচিব (শ্রম) শাহানাজ পারভীন।
কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, ‘পেনশন স্কিমের বিষয়টিতে আমরা অধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ পেনশনের মাধ্যমে সকলের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। প্রবাসীদের মধ্যে এই বিষয়ে আরো জিজ্ঞাসা থাকলে তাও মিশনকে জানাতে পারেন। আমরা যথাযথ তথ্য সহায়তা প্রদান করবো। প্রয়োজনে পেনশন কর্তৃপক্ষ ও অর্থবিভাগ থেকে উত্তর এনে দেব।’
এসময় বিভিন্ন সংগঠনের বক্তারা পেনশন স্কিমে প্রান্তিক প্রবাসীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য বিদেশে থাকা মিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠনের জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। এ ছাড়া সরকারি পেনশনের বিপরীতে প্রবাসীদের জন্য ঘোষিত প্রবাস পেনশন স্কিমকে বৈষম্য উল্লেখ করে চাঁদার পরিমাণ কমানোর দাবি করেন তারা।
প্রবাসীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, প্রবাস স্কিমে চাঁদার হার কমানো যায় কি-না বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পাসপোর্টের তথ্য দিয়েও পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন প্রবাসীরা। তবে সার্ভারের জটিলতা কাটিয়ে পাসপোর্টের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন বলে জানান তারা।
এসময় বিভিন্ন মতামত, প্রশ্নোত্তর ও পেনশন সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট লেডিস গ্রুপ, দুবাই বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ সমিতি শারজা, বাংলাদেশ সমিতি আজমান, বাংলাদেশ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উম্ম আল কোয়েন, বরিশাল বিভাগ কল্যাণ পরিষদ, চট্টগ্রাম সমিতি, বৃহত্তর ফরিদপুর সমিতি, গ্রেটার কুমিল্লা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, এনআরবি খুলনা, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ইন্টারন্যাশনাল সিটি, টেকনাফ সমিতি, রাঙ্গুনিয়া সমিতি ও আরবান রিডারসের কর্মকর্তা, সভাপতি, সম্পাদক ও দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।