কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মোবাইল ফোন ক্লোন করে চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সাথে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ক্লোন করা প্রতারক চক্র। রৌমারী উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে এরকম সতর্কতা দিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসান খান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যার আগে রৌমারী থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন রৌমারীর ফেসবুক পেজে সকলকে এ নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে আহবান জানানো হয়। জানা গেছে, ব্যবসায়ী প্রদীপ সাহা রৌমারী উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি। রবিবার দুপুরের দিকে ইউএনওর পরিচয় দিয়ে সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে তাকে কল দিয়ে তার কাছে চাল বিক্রির বিনিময়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। প্রদীপ সাহা জানান, রৌমারী উপজেলা প্রশাসনে তিনি স্টেশনারি সামগ্রী সরবরাহ করে আসছিলেন। এজন্য ইউএনওর সরকারি মোবাইল নম্বরটি তার মোবাইলে সেভ করা ছিল। রবিবার দুপুরের দিকে ইউএনওর সরকারি ফোন নম্বর থেকে কল করে ৩০ মেট্রিক টন চাল বিক্রির কথা বলে তিন লাখ টাকা চাওয়া হয়। তিনি চাল নেবেন না বললে ওই প্রতারক তাকে গ্রাহকের কাছ থেকে নিতে বলেন। ব্যবসায়ী প্রদীপ ময়নুল হক নামে স্থানীয় এক চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ইউএনও পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির কথামতো তিনটি নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দুই দফায় তিন লাখ টাকা তিনি প্রেরণ করেন। কিছুক্ষণ পর আবারও ফোন করে ৫০ হাজার টাকা চাইলেই ব্যবসায়ীর সন্দেহ হয়। তখন উপজেলা প্রশাসনে গিয়ে ইউএনওর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানালে ইউএনও তাদের বলেন তিনি এমন কোনও ফোন করেননি। তখন তিনি বুঝতে পারেন যে, ব্যবসায়ী প্রতারিত হয়েছেন। পরবর্তীতে ইউএনওর পরামর্শ অনুযায়ী প্রদীপ রৌমারী থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অপর এক ব্যবসায়ী ময়নুল হক বলেন, প্রদীপ বাবুর কথামত তিনটি নম্বরে তিন লাখ টাকা পাঠাই। পরে জানতে পারি যে, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। অবশ্য তিনি ওই টাকা পরিশোধের আশ্বস্ত করেন।