শুরুতেই আফগান শিবিরে শরিফুলের আঘাত

0

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচে শুরুতেই আফগান শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফেরান শরিফুল। রহমানউল্লাহ গুরবাজ আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ১ রান করেন।

৩৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান তুলতে পারেন দুই আফগান ওপেনার। পরের ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। ওভারের দ্বিতীয় বলেই গুরবাজের প্যাডে বল লাগলে আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিও নেননি টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় রিভিও নিলে আউট হতেন গুরবাজ। তবে দুই বল পরে তাকে ফিরতে হয় লেগ বিফোর হয়েই।

রবিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান তুলে বাংলাদেশ।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে নাঈম ও তিনে নামা তাওহিদ হৃদয় ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। তবে আফগান চাপ সামলে হাল ধরেন মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

দু’জনে মিলে ইনিংস গড়তে শুরু করেন। ১১৫ বলে বাংলাদেশের স্কোর তিন অংক স্পর্শ করে। ৬৬ বলে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। অন্যদিকে, শান্ত দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন। আফগান বোলারদের হতাশ করে জুটি ছাড়িয়ে যায় একশ।

একপর্যায়ে দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১১৫ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। পরে তিনি রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ১১৯ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ১১২ রানে। অন্যদিকে, নাজমুল হোসেন শান্ত তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ১০১ বলে ৯ চার ২ ছক্কায়। এই টপ অর্ডার ব্যাটার ১০৪ রানে থামেন রানআউটের শিকার হয়ে। 

দু’জনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে এসেছিল ১৯০ বলে ১৯৪* রান। মুশফিকুর রহিম দুঃখজনকভাবে রানআউট হওয়ার আগে করেন ১৫ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ২৫ রান। আরও একটি রানআউটের শিকার অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারী। ৬ বলে ১১ রান করে ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। শেষদিকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ রান করেন।

আফগানদের পক্ষে দুটি উইকেট নেন মুজিব ও গুলবাদিন নাঈব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here