বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় পুনরায় যমুনা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় ৩০ টি বসতবাড়ী যমুনায় বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে আরো ৫ হাজার গ্রামবাসী। নষ্ট হচ্ছে ১৫’শ বিঘা জমির আমন ধান। প্রায় ২৫ বছর বসবাসরত তাদের বসতভিটা ছাড়ছেন গ্রামবাসী। ভাঙন ঠেকাতে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা যায়, শনিবার সকালে যমুনা নদীর ভাঙনে বসতবাড়ী বিলীন হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন সারিয়াকান্দি কামালপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের আব্দুল মুন্নাফ প্রাং, ফুলটু প্রাং, জহুরুল প্রাং , মানিক প্রাং, মুকুল প্রাং , মোসলেম প্রাং , দোলা আকন্দ , শাহেনা বেগম , চাঁন মিয়াসহ প্রায় ৩০ টি পরিবারের বসতবাড়ি। এই এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে বালুভর্তি জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে শনিবার দুপুরে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক, উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, উপ নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনূর বেগম।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, শনিবার বিকাল ৩ টায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল হয়ে কমতে শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বন্যা কবলিত এলাকাবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।