নাটেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে নাটোরের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের দাফন শেষে ফেরার পথে নাটোর শহরের পচুর হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পচুর হোটেলের খাবার প্লেট, গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং হামলার সাথে জড়িতদের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
সৈয়দ মোর্তজা অলী বাবলু বলেন, ‘আমরা হোটেলে ঢুকে দেখি নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান গুরুতর আহত। তার মাথায় কাচের গ্লাস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ফলে তারা মাথার চামড়া কেটে গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় শাহীনের ঘাড়ের পেছনে আঘাত করা হলে তিনিও অজ্ঞান হয়ে যান। হোটেলের ভেতরের খাবার সামগ্রী ছড়ানো-ছিটানো এবং গ্লাস, প্লেট ভাঙা দেখতে পাই।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরফিুল ইসলাম রমজান বলেন, তিনি ফোনে বিষয়টি নাটোরের এসপি এবং ওসিকে জানিয়েছেন।নাটোর থানার ওসি এবং কিছু পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেছেন। তারা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন।
তিনি বলেন, আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, তিনি ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না। কারণ, তিনিও জানাজা থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন। খাবার টেবিলে কি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটলো তা সরজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ছাত্রলীগ নেতা জীবন হত্যার আসামি। এ কারণে তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল হাইকোর্ট তাকে চেয়ারম্যানের পদ ফিরিয়ে দিতে আদেশ দিলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি।
নাটোর থানার ওসি নাসিম আহমেদ বলেন ,সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছেন। তবে এই ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।