বঙ্গবন্ধু একজন অসামান্য কিংবদন্তি নেতা ছিলেন : মতিয়া চৌধুরী

0

সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু একজন অসামান্য কিংবদন্তি নেতা ছিলেন। তার সঙ্গে কারো তুলনা করা যায় না। সমুদ্রে আকাশের ছায়া পড়লে যেমন আকাশকে সমুদ্র ধারণ করে না- তেমনি কোন নেতাকে মহান মনে হলেও তার মতো বড় হয়ে যান না। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মতিয়া চৌধুরী। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ)।   

অনুষ্ঠানে মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পরিস্থিতি এতটাই প্রতিকূলে ছিল যে, আমরা একটি সময়োচিত প্রতিবাদ করতে পারিনি। আমাদের মিছিল বারবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজকে যত সুন্দর পরিবেশ দেখা যায় এত মসৃণ ছিল না কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতি। এটি শেখ হাসিনার অবদান। তিনি নতুন প্রজন্মকে এই ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে শেখ মুজিবুর রহমান অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্ত্বশাসন দিয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ ব্যবস্থাপনায় গবেষণা ও উন্নয়ন সাধিত হবে। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য সাধনা করেছিলেন। তিনি সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন পরশ পাথর। তিনি শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ একটি গর্বিত দেশ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশে ‘৭৫ এ মুজিব হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু হয়েছে, এর বলি হয়েছেন অনেকেই। 

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজেও এ প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে। মুজিব আমলে নেওয়া অনেক সিদ্ধান্ত পরে বাতিল করা হয়েছিল। তিনি মনে করেন, বিদেশি নেতাদের সাম্প্রতিক পাঠানো চিঠি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানকে পশ্চিমাদের ব্যর্থ সহায়তার মতো হবে।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, যুগ্ম মহাসচিব সুভাষ সিংহ রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৈৗধুরী প্রমুখ। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত।

আলোাচনায় জাতীয় কমিশন গঠন করে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রকারীদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দাবি জানানো হয় ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here