বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ভাড়াটে যোদ্ধা দলের (ওয়াগনার গ্রুপ) প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। পশ্চিমা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুর্ঘটনায় পুতিনের হাত থাকতে পারে। যদিও ক্রেমলিন বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে।
তবে বুধবার ক্রেমলিন নতুন কথা বলেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, ‘প্রিগোজিনের বিমান দুর্ঘটনা ইচ্ছাপূর্বক ঘটানো হতে পারে সেটা তারা আমলে নিয়ে এগোচ্ছেন।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এটা স্পষ্ট যে বিভিন্ন ভার্সন আমরা বিবেচনা করছি। এর সঙ্গে ওই ভাসর্নটিও রয়েছে, আপনারা জানেন, আমরা কোনটার কথা বলছি। এটা বলা যায়-‘ইচ্ছাকৃত নির্মমতা’।
উল্লেখ্য, প্রিগোজিনের বাহিনী ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করছিল। কিন্তু মস্কোর সেনা নেতৃত্বের সঙ্গে প্রিগোজিনের মতবিরোধ দেখা যায়। এটা নিয়ে প্রিগোজিন জুনের ২৪ তারিখে বিদ্রোহ করেন। মস্কোর দিকে সেনাদের নিয়ে তিনি রওনা হচ্ছিলেন। কিন্তু বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় ফিরে যান। পুতিন তার বিদ্রোহের ঘটনাকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ বলে উল্লেখ করে এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হুঁশিয়ারি দেন। এর ঠিক দুইমাস পর প্রিগোজিন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। সূত্র: গার্ডিয়ান