জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা’র (এফএও) সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) একটি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এই সহযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো-যান্ত্রিকভাবে ধান সংগ্রহের র্যাটুনিক সিস্টেমের সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা।
# যান্ত্রিকভাবে র্যাটুনিং পদ্ধতিতে ধান আবাদ পদ্ধতি গ্রহণ ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে ধান-ভিত্তিক কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর তরান্বিত করতে একটি আঞ্চলিক প্রকল্প প্রস্তাব উন্নয়ন।
# ধানের বিশেষ জাত সনাক্তকরণ-যার ব্যাপক র্যাটুনিং স্বক্ষমতা রয়েছে।
# যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধানের র্যাটুনিংয়ের জন্য প্রতিবেশগতভাবে টেকসই ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন ও বাস্তবায়ন।
# রাটুন পদ্ধতিতে চাষাবাদকৃত ধান সম্পর্কে বিভিন্ন স্কেটহোল্ডারদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প কর্মশালা ও মাঠ প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রযুক্তি উৎসারিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রচার।
মঙ্গলবার ইআরডি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান ও বাংলাদেশে এফএও’র প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রকল্পটি বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হবে। এই সহযোগিতামূলক প্রকল্পটি একযোগে বাংলাদেশ, চীন ও ভিয়েতনামে বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশে এই প্রকল্পে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪ মার্কিন ডলার।
২০২২-২০২৬ সালের জন্য এফএও’র কান্টি প্রোগ্রাম ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।
১৯৭৩ সালে এফএও’র সদস্য হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে লাভবান হয়েছে। বাংলাদেশ খাদ্য, কৃষি (শস্য, মৎস্য,পশুসম্পদ) এবং পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এফএও’র প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। এই সুদীর্ঘ বছরে, এফএও এদেশে ৪০০ প্রকল্পে অবদান রেখেছে।