ইউরোপীয় ইউনিয়ন পশ্চিম আফ্রিকায় একটি নতুন মিশন শুরু করবে। একটি জার্মান সংবাদপত্র এ কথা জানিয়েছে।
সম্মিলিত সামরিক-বেসামরিক অভিযানের লক্ষ্য হবে জিহাদি গোষ্ঠীর মদতে তৈরি হওয়া অস্থিরতাকে ঠেকানো।
সংবাদপত্রটির তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযান বা মিশনের লক্ষ্য, স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য প্রস্তুতিতে সহায়তা করা, প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া, নিরাপত্তা খাতে জোর দেয়া, আত্মবিশ্বাস বজায় রাখার পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত করা।
লুক্সেমবার্গে চলতি বছরের অক্টোবরে এক বৈঠকে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর মিশনটি চালু করার কথা।
মিশন সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে
পরিকল্পিত মিশনের পিছনের কারণ হলো-ইইউ-এর উদ্বেগ যে কট্টর ইসলামপন্থি দলগুলো ‘‘পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল থেকে গিনি উপসাগরের দক্ষিণ উপকূলীয় দেশগুলো দিকে তাদের সক্রিয়তা ও কার্যকলাপ বাড়াতে পারে, যা এই অঞ্চলে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।”
ইসলামিক স্টেট এবং আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর জঙ্গি কার্যকলাপ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মালি, নাইজার এবং বুর্কিনা ফাসোর মতো দেশগুলোতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
সাহেলে সামরিক শাসনকে সমর্থনকারী ভাগনার সেনাদের মাধ্যমে এলাকায় রুশ প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে। ইইউ এই অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব মোকাবেলা করতে চায়।
ফরাসি এবং জার্মান বাহিনী মালির সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। কিন্তু মালি তাদের বের করে দেওয়ার পরে ইইউ-এর জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদন বলছে, বেনিন এবং ঘানা ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউকে তাদের ভূখণ্ডে মিশন মোতায়েন করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ অভ্যুত্থানের পরে সামরিক সরকারের অধীনে রয়েছে। ২৬ জুলাই নাইজারেও জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। মালি এবং বুরকিনা ফাসোতেও সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করেছে।
জান্তা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর নাইজারের পতন বিশেষভাবে উদ্বেগজনক কারণ এটি সমগ্র অঞ্চল জুড়ে পশ্চিমা শক্তিগুলির প্রধান সহযোগী ছিল।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।