আজ বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে ভারতের পাঠানো মহাকাশযান ‘চন্দ্রযান-৩’। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৬টা ৩৪ মিনিট) চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম।
অভিযান সফল হলেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মুকুটে উঠবে সাফল্যের নয়া পালক। তৈরি হবে নতুন ইতিহাস।
চন্দ্র অভিযানে ইসরোকে সাহায্য করছে নাসা
ভারতের চন্দ্র অভিযানে সাহায্যকারী বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার মধ্যে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাও রয়েছে। শুরু থেকেই ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো-কে নানাভাবে সাহায্য করেছে নাসা। ক্যালিফোর্নিয়ার নাসার ডিএসএন কমপ্লেক্স থেকে বিশেষভাবে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কারণ এটি পৃথিবীর অন্য প্রান্তে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের মহাকাশ স্টেশন থেকে যখন চাঁদ দেখা যাবে না, তখন নাসার ডিএসএন কমপ্লেক্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ইসরোকে দেওয়া হবে। এছাড়াও মহাকাশযানটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নাসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। স্পেস নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে নাসার সাহায্য নিতে হয়েছে ইসরো-কে।
সাহায্য করছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সিও
নাসা ছাড়াও এই অভিযানে সাহায্য করেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ । ইএসএ নেটওয়ার্ক থেকে স্পেসক্রাফটের গতিপথে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। স্পেসক্রাফট-এর টেলিমেট্রি খতিয়ে দেখে ইএসএ তথ্য পাঠায় বেঙ্গালুরুর মিশন অপারেশন সেন্টারে। বেঙ্গালুরু থেকে বার্তা যায় স্যাটেলাইটে। ইএসএ’র গ্রাউন্ড স্টেশনেরও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। ল্যান্ডার মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ইএসএ একটি বিশেষ ব্যবস্থাও রেখেছে। সূত্র: দ্য হিন্দু, টাইমস অব ইন্ডিয়া