নারী ফুটবলে ইতিহাস গড়েছে ইউরোপের দেশ স্পেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্প্যানিশরা।
এর মধ্য দিযে নারী ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে স্পেন। শুধু তাই নয়, বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে স্পেনের নারী ও পুরুষ উভয় দল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার কৃতিত্ব অর্জন করে তারা। এর আগে জার্মানির মেয়েরা ২০০৩ সালে ও ২০০৭ সালে দুইবার এই কীর্তি গড়েছিল।
রুবিয়ালেস বলেন, “আমাকে স্বীকার করতেই হবে, আমি সম্পূর্ণ ভুল ছিলাম। আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে, এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমাকে বুঝতে হবে, যখন সভাপতির মতো দায়িত্বে থাকবেন, তখন আপনাকে আরও সতর্ক হতে হবে।”
তবে ক্ষমা চাইলেও বিতর্কের অবসান হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন স্বয়ং স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। মঙ্গলবার সানচেজ বলেছেন, “হেরমোসোকে চুমু দিয়ে রুবিয়ালেস যে অপরাধ করেছে, তার জন্য ক্ষমা চাওয়া যথেষ্ট নয়।”
পেদ্রো সানচেজ সংবাদকর্মীদের বলেছেন, “এটার (চুমু) মাধ্যমে বোঝা যায়, আমাদের দেশে নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্মান এবং সমতা আনতে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আমরা যেটা দেখেছি, সেটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য আচরণ। আমার মতে, রুবিয়ালেসের ক্ষমা চাওয়া যথেষ্ট নয়। তার আরও কিছু করা উচিত…আরএফইএফ তো স্প্যানিশ সরকারের অংশ নয়। সেখানে সভাপতি বেছে নেওয়া কিংবা বাদ দেওয়ার দায়িত্ব ফেডারেশনের সদস্যদের। রুবিয়ালেসকে অবশ্যই আরও নিজের আচরণ ব্যাখ্যা করতে হবে, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ছিল। তার আরও স্পষ্ট ভাষায় ক্ষমা চাওয়া উচিত, যাতে সবাই সন্তুষ্ট হবে।”
এদিকে, স্পেনের দ্বিতীয় ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ইয়োলান্দা দিয়াজ এর আগে রুবিয়ালেসকে ‘পদত্যাগ’ করার আহ্বান জানান।
ইয়োলান্দা দিয়াজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রুবিয়ালেসের পদত্যাগ দাবি করে লেখেন, “একজন নারী অপমানিত ও নিগৃহীত হয়েছে। তার ক্ষমা চাওয়ার কোনও মূল্য নেই। আমরা যেটা চাই খেলাধুলার আইন ও ফেডারেশনের প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হোক। এই লোকের পদত্যাগ করা উচিত।”
এদিকে, স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) পক্ষ থেকে জানানো হয়, চুমু-কাণ্ড নিয়ে শুক্রবার জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: ইএসপিএন