কুষ্টিয়ায় প্রেমিকের বাড়ি থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রেমিকা জান্নাতুল ফেরদৌস তুলি (২২) শহরতলীর মোল্লাতেঘড়িয়ার মোল্লা পাড়ার ওহিদুল ইসলামের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে তুলি ছিলেন ছোট। তিনি কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রেমিক মাহমুদুল হাসান সুমনের কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনের গলির ভেতর ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে সুমন পলাতক রয়েছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, কুষ্টিয়া জজ কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে তুলির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক সপ্তাহ আগে অন্য এক মেয়েকে ওই আইনজীবী বিয়ে করেন। মঙ্গলবার বিকেলে জিলা স্কুলের সামনের গলির ভেতর সুমনের ভাড়া বাসার ৩ তলার ফ্লাটে এসে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেন। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে ফোন কল পেয়ে মফিজ উদ্দীন লেনের গোলাম নবীর বাড়িতে যান। সেখানে তিনতলার একটি ফ্ল্যাটের ভাড়াটে আইনজীবী মাহমুদুল হাসান ওরফে সুমনের ফ্ল্যাটের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় তুলির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় ওই তরুণীর মা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওই তরুণীর বড় বোন জান্নাতুল ফেরদৌস তুন্না বলেন, তুলি সকাল সাড়ে ৮টায় কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটে ক্লাস করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ করেই সুমন আমার স্বামীকে ফোন করে জানাই তুলি আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সুমনের বাসায় গিয়ে দেখি একটি ভ্যানের উপর তুলির মরদেহ। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, এক সময় সুমনের কাছে প্রাইভেট পড়তো তুলি। তাদের দু’জনের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্কের কথা আমাদের জানা নেই। এটি আত্মহত্যা নয়, তার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ভবনের মালিক গোলাম নবী জানান, চলতি মাসে ওই আইনজীবী বাসা ভাড়া নেন। গত শুক্রবার তিনি বিয়ে করেছেন। স্ত্রী নিয়ে বাসায় থাকেন। ঘটনার সময় বাসায় ওই আইনজীবী ও তার স্ত্রী ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে জানতে পারেন, ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটেছে। এর বেশি কিছু জানেন না।