লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ ২ মাস ১৯ দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পাটগ্রাম উপজেলার কালীরহাট সীমান্তের ৮৬৮ নম্বর প্রধান ও ৩ নম্বর সাব পিলারের নিকট দিয়ে ইউসুফ আলীর (২৫) লাশ ফেরত দেয়া হয়।
এর আগে গত সোমবার (০৫ জুন) ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার কালিরহাট সীমান্ত মেইন পিলার ৮৫৭ কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউসুফ আলী উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের মেসেরডাঙ্গা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ জুন (রবিবার) ভোর রাতে ইউসুফ আলীসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে উপজেলার কালিরহাট সীমান্তের মেইন পিলার নাম্বার ৮৫৭ সাব পিলার-১৩ পেরিয়ে গরু পারাপার করতে যায়। এ সময় ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ১৬৯ রানীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়ান মীররাপা ক্যাম্পের টহল দল তাকে লক্ষ করে গুলি ছুড়লে সেখানেই ইউসুফ আলীর মৃত্যু হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ১০-১২ জন পালিয়ে আসে। পরে বিএসএফের পাহারায় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ মরদহ উদ্ধার করে করে।
এদিকে, নিহত ইউসুফের লাশ ফেরত চেয়ে বাবা শাহ জামাল ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নে আবেদন করেন। বিজিবি উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর গত ২/৩ দিন আগে লাশ ফেরত দেওয়ার কথা জানায় ভারতীয় বিএসএফ।
এ বিষয়ে জগতবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, ‘উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি-বিএসএফ), ভারতের একজন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক ইউছুফের লাশ তার বাবার নিকট তুলে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনা সত্য নিশ্চিত করে বলেন, পাটগ্রাম থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিয়েছেন।