আরব আমিরাতের কাছে হেরে যে রেকর্ড খুঁইয়েছে নিউজিল্যান্ড

0

টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাসই গড়ে ফেলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাইয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এটি যেকোনো ফরম্যাটে কিউইদের বিপক্ষে প্রথম জয় তাদের। একই সঙ্গে একমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে কোনো সহযোগী সদস্য দেশের কাছে না হারার রেকর্ড খুঁইয়েছে নিউজিল্যান্ড।

এদিন শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে কিউইরা। জবাব দিতে নেমে ২৬ বল হাতে রেখে জয় পায় আমিরাত।  

এই ব্যাটারের বিদায়ের পরও কিউইরা উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত। তবে দলটিকে অনেকটা একা হাতেই টেনেছেন মার্ক চাপম্যান। ইনিংস শেষের দুই বল বাকি থাকতে আউট হওয়ার আগে ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৪৬ বলে ৬৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। জাহির খানের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। এছাড়া ১৭ বলে বলে ২১ রান করেন জিমি নিশাম। আমিরাতের পক্ষে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন আয়ান আফজাল খান।  

জবাব দিতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই ওপেনার আরিয়ানুশ শর্মাকে আউট হারায় আমিরাত। টিম সাউদির বলে এই ব্যাটার কোনো রান করার আগেই ক্যাচ দেন জিমি নিশামের হাতে। তার বিদায়ের পর ভ্রিত্তিয়া আরভিন্দের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। ২১ বলে ২৫ রান করে জিমি নিশারে বলে বোল্ড হন আরভিন্দ।
 
তবে হাফ সেঞ্চুরি তোলে নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। সেটিও অনেকটা ঝড়ের গতিতে। ৪ চার ও ৩ ছ্ক্কায় ২৯ বল খেলে ৫৫ রান করেন তিনি। মিচেল স্যান্টনারের বলে টিম সাউদির হাতে ক্যাচ দেন ওয়াসিম। তবে কাজের কাজ করে দিয়ে যান তিনি।  

এরপর প্রয়োজন ছিল কেবল ইনিংসটিকে এগিয়ে নেওয়া। সেটি ভালোভাবেই করেন আসিফ খান ও বাসিল হামিদ। তারা দু’জন ২৮ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান। ১ ছ্ক্কা ও ৫ চারে ২৯ বলে ৪৮ রান করেন আসিফ খান। ১২ বলে ১২ রান আসে বাসিল হামিদের ব্যাটে।  

সবমিলিয়ে এ নিয়ে তৃতীয়বার মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড ও আরব আমিরাত। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় ঠিক একদিন আগে। ওই ম্যাচে আশা জাগিয়ে আমিরাত হেরেছিল ১৯ রানে। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে একমাত্র ওয়ানডে খেলে তারা, সেটিতে বড় জয় পায় নিউজিল্যান্ড। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here