তরুণ রেয়ান রেহমান বয় স্কাউট অব আমেরিকার ‘ঈগল স্কাউট’ র্যাংক অর্জন করেছেন। নিউজার্সির বাসিন্দা রেয়ান তার দীর্ঘ ১০ বছরের স্কাউটিং যাত্রায় সকল ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে এই র্যাংক পেলেন। এটি বয় স্কাউটিংয়ে অগ্রযাত্রায় সর্বোচ্চ র্যাংক।
রেয়ান বয় স্কাউটস অব আমেরিকার ‘ট্রুপ ১০১’ এর সদস্য হিসেবে এই র্যাংক পেলেন। গৌরবের বিষয় হচ্ছে, রেয়ানের বড়ভাই আয়মান রেহমানও এর আগে ‘ঈগল স্কাউট’ র্যাংক পান। দুই সহোদরের এমন অর্জন বিরল।
১৩ আগস্ট নিউজার্সির মানালাপান ব্যাটলগ্রাউন্ড কান্ট্রি ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে রেয়ান রেহমানকে ‘ঈগল কোর্ট অব অনর’ এ ভূষিত করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্কাউটস এর উর্ধ্বতনরা। ছিলেন তরুণ স্কাউট ও পাবলিক অফিসিয়ালরাও। অভ্যাগত অতিথি হিসেবে ছিলেন নিউজার্সিতে বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা। রেয়ান রেহমানের বাবা, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান আইসিটি উদ্যোক্তা আজিজ আহমদ ও গর্বিত মা পান্না আজিজ ছিলেন এই আয়োজনের হোস্ট। সন্তানের এমন অর্জনকে প্রিয়জনদের সঙ্গে সেলিব্রেট করতে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন তারা। ছিলো কেক কাটার আনুষ্ঠানিকতাও।
তবে তার আগে ঈগল কোর্ট অব অনরের নির্ধারিত আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে রেয়ান রেহমানকে ঘোষণা করা হয় ঈগল স্কাউট হিসেবে।
এসময় রেয়ান রেহমানের হাতে তুলে দেওয়া হয় র্যাংক সনদ। বিশেষ প্রক্লেমশন তুলে দেওয়া হয় স্টেট সিনেটর ভিন গোপালের পক্ষ থেকে। মনমাউথ কাউন্টি কমিশনার রস এফ লিসিট্রা এই সনদ তুলে দেন।
রেয়ান রেহমান ঈগল স্কাউট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তাকে শপথ পড়ান আরেক ঈগল স্কাউট আয়মান রেহমান। আর র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন তার মা পান্না আজিজ। বাবা আজিজ আহমদ পরিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার রঙে বিশেষ স্কার্ফ। বাবা ও মাকে ঈগল পিন পরিয়ে দেন রেয়ান রেহমান।
টাউনশিপ অব মার্লবোরো কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্টোনিতে দিনুজো তার বক্তৃতায় রেয়ান রেহমনাকে অভিনন্দিত করেন। আর বিশেষ বক্তৃতায় মার্লবোরো ওপেন স্পেস কমিটির চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন শীতল রাজন বৈমানিকের পিন ও বিশেষ অভিনন্দন তুলে দেন। কাউন্সিলম্যান মাইকেল স্কালেও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে স্কাউটমাস্টার ও বয় স্কাউট অব আমেরিকার মনমাউথ কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার রে গ্লোডে তার নিজের একটি প্রশংসাপত্র দেন রেয়ান রেহমানকে। মেন্টর হিসেবে তিনি রেয়ানকে অতি বাধ্যগত, কর্মঠ, দায়িত্বশীল হিসেবে দেখেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অভ্যাগত অতিথিরা রেয়ান রেহমানের এই অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তার সঙ্গে ছবি তুলে আনন্দময় সময় কাটান।