ইউক্রেন জয় করতে রাশিয়া প্রচলিত সব ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করেছে। কিন্তু ব্যর্থ হয় রাশিয়া। এরপর মস্কো জ্বালানিযুদ্ধ শুরু করে। তারা ইউক্রেনের সব বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস করে ও পুরো জাতিকে বরফে জমিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতেও তারা সফল হয়নি। এখন তারা নেমেছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো যুদ্ধকৌশল ‘খাদ্যযুদ্ধে’।
রাশিয়া গত জুনে কাখোভকা বাঁধ নির্মাণের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় কৃষিজমি মরুতে রূপান্তরের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিতে বাধা না দিতে ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ (বিএসজিআই)’ চুক্তিতে সই করেছিল রাশিয়া। কিন্তু গত মাসে তারা সেই চুক্তি থেকে সরে আসে। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার নৌবাহিনী ইউক্রেনের বন্দরগুলোকে কার্যত অবরুদ্ধ করে ফেলে। এ ছাড়া তারা দানিউব নদীর রেনি ও ইজমাইল বন্দরে সরাসরি হামলা চালিয়েছে। এতে ইতিমধ্যে রপ্তানির জন্য মজুত রাখা ২ লাখ ২০ হাজার টন খাদ্যশস্য ধ্বংস হয়ে গেছে।
আদতে এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে খাদ্যকে একটি যুদ্ধাস্ত্রে রূপান্তর করা হচ্ছে। আর রাশিয়া ফিরিয়ে আনছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো যুদ্ধনীতি। প্রাচীন সৈন্যরা তাদের প্রতিপক্ষকে বশে আনার জন্য তাদের খাদ্যশস্যে অবরোধ দিত, যাতে খাদ্যশস্যের সংকট দেখা দেয়।