কর্মকর্তা শূন্য দুমকির প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, বিপাকে খামারিরা

0

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নেই কোনো কর্মকর্তা কিংবা চিকিৎসক। ফলে স্থানীয় গবাদি পশু পালনকারী ও খামারিরা পড়েছেন বিপাকে। পাওয়া যাচ্ছে না কোনো রকম চিকিৎসা সেবা বা পরামর্শ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম অবসরে যাওয়ায় এ দপ্তরটি পুরোপুরি কর্মকর্তা শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের দেড় শতাধিক খামারিসহ অর্ধ লক্ষাধিক পরিবার গৃহপালিত ও গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। 

এর আগে একজন ভেটেরিনারি সার্জন, একজন কম্পাউন্ডার, ২ জন ফ্লিড ভিএসএস ও একজন অফিস সহায়ক (মোট ৫জন কর্মকর্তা-কর্মচারী) নিয়ে এই কার্যালয়টির কার্যক্রম চলে আসছিল। এদের মধ্যে ভেটেরিনারি সার্জন মো: ইউনুচ মিয়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বদলি হয়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া চলে যান। ফিল্ড ভিএসএস মোশাররফ হোসেন গত জানুয়ারি মাসে এবং মোঃ শহিদুল ইসলাম জুন মাসে অবসরকালীন ছুটিতে (এলপিআর) গেছেন। ফলে এ গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়টি পুরোপুরি কর্মকর্তা শূন্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে শুধু অফিস সহায়ক হুমায়ুন কবির একাইেআছে শিব রাত্রির সলতে হয়ে। ফলে কার্যত উপজেলার প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য চিকিৎসা কার্যক্রম মুখথুবড়ে পড়েছে। 

উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের আদর্শ খামারি মোঃ হুমায়ুন কবির হাওলাদার ও মুরাদিয়া গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের শাহিন আলম (সিকদার ডেইরী ফার্ম নামে তার একটি খামার রয়েছে) জানিয়েছেন নিজেদের দুর্দশার কথা। এই খামারিদের অভিযোগ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সরকারি ভেটেরিনারী সার্জন না থাকায় কোন চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে গ্রামগঞ্জের হাতুড়ে চিকিৎসকের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে। ফলে বড় রকমের সঙ্কট দেখা দেবে বলবে শঙ্কা করছেন তারা। একই অভিযোগ চরবয়েড়া গ্রামের খামারি সাইদ মৃধা, রাজাখালীর বাসিন্দা মোঃ ইব্রাহীমসহ অনেক খামারির।
 
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের দ্বায়িতরত কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, জনবল চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here