অস্ট্রিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী এবং বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন ভিয়েনায় শেখ কামাল ও বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বঙ্গমাতা ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের নিউক্লিয়ার এটাশে ড. শামসুজ্জামান ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর মো. তারাজুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক ও সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সহ-সভাপতি রুহী দাস সাহা, অস্ট্রিয়া প্রবাসী জান্নাতুল ফরহাদ প্রমুখ।
এতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত রাহাত বিন জামান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জীবনের বিরাট অংশ জেলে কাটিয়েছেন, আর এ সময় বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিবার দেখাশোনার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও আগলে রেখেছিলেন।’
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘শেখ কামাল বহুগুণে গুণান্বিত এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।’
অনুষ্ঠানে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব নিজেকে নেপথ্যে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন। তিনি তার সচেতন বোধ এবং নিজস্ব চিন্তাচেতনায় তার সময়কে যেভাবে উপলব্ধি করেছিলেন, তা ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে ভিন্নমাত্রা লাভ করে।’
তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। মাত্র ২৬ বছরের ক্ষুদ্র জীবনে তিনি বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন।’
খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম তার বক্তব্যে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, গাজী মোহাম্মদসহ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, শেখ কামালসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার অফিসার জুবায়দুল হক চৌধুরী।