দীর্ঘ ৪৭ বছর পর আবারও চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। ভবিষ্যতে চাঁদের পৃষ্ঠে বসতি গড়ার লক্ষ্যে পানির খোঁজে দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযানটি পাঠাবে দেশটি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল শুক্রবার সংস্থাটি চাঁদে পাঠানোর জন্য নিজস্ব মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করবে।
তবে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল আরও আগে। বেশ কয়েকবার বিলম্বের পর নিজেদের এককভাবে তৈরী মহাকাশযান ব্যবহার করে চাঁদে অভিযান পরিচালনা করছে দেশটি। গত ৫০ বছরের ইতিহাসে এটিই হবে রাশিয়ায় প্রথম চন্দ্র অভিযান। সর্বশেষ ১৯৭৬ সালের চাঁদে অভিযান পরিচালনা করেছিল দেশটি।
দীর্ঘ সময় পর উৎক্ষেপণের ব্যাপারটি ছাড়াও রাশিয়ার চাঁদে এই অভিযানটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পূর্বে মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে দেশটির ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সহযোগিতা গ্রহণের সুযোগ ছিল।
কিন্তু এবারের অভিযানে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির কোনো সহযোগিতা কিংবা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেনি রাশিয়া। কেননা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রসকসমসের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ইউরোপীয় সংস্থাটি।
সম্পর্ক ছিন্নের পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দেশটি ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির সহযোগিতা ছাড়াই কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। তারা ইউরোপীয় সংস্থাটির যন্ত্রপাতির জায়গায় নিজেদের তৈরি যন্ত্রপাতি ব্যবহার শুরু করবে।
চাঁদে অভিযানের জন্য তৈরি লুনা-২৫ যেন তারই প্রমাণ। এটিতে রাশিয়ার তৈরি সব যন্ত্রপাতিই ব্যবহার করা হয়েছে। মহাকাশযানটির ওজন প্রায় ৮০০ কেজি।
চাঁদে অভিযানের ক্ষেত্রে মহাকাশযানগুলো সাধারণত উপগ্রহটির অতি পরিচিত স্থান বিষুবরেখায় অবতরণ করে। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে রাশিয়ার লুনা-২৫। মহাকাশযানটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে।
রসকসমসের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, মহাকাশযানটি মস্কো থেকে ৫ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ভস্টকনি কসমোড্রোম স্পেস পোর্ট থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে।