সবজি চাষে ভালো আয়, দুবাই ফিরবেন না রাসেল

0

রাসেল হোসেন, কৃষক পরিবারের সন্তান। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার হারং গ্রামে বাড়ি। দুবাইতে ছিলেন ১০ বছর। ভালোই আয় করেছেন। ছুটিতে দেশে এসে বাবার সাথে কৃষি কাজে নেমে পড়েন। কৃষিতে লাভ দেখে আর দেশ ছেড়ে যাননি। 

সবজির চারা উৎপাদন, গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও ফুলকপিসহ বিভিন্ন সবজি করে তিনি এখন ভালো আয় করছেন। গত বছর ৬০ হাজার টাকা পুঁজি লাগিয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকার গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি বিক্রি করেছেন। এবার দেড় একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি লাগিয়েছেন। খরচ ৯০ হাজার টাকার মতো। এক লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। তার আশা তিনি আরো ৫ লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করতে পারবেন।

রাসেল হোসেন বলেন, দুবাইতে মামার সাথে কাজ করতাম। ভালো কাজ ভালো বেতন। ২০১৯ সালে দেশে চলে আসি। কিন্তু দেশে এসে কৃষি কাজ করে মনে হলো এখানে আয় আরো বেশি। তাই আর বিদেশ যাইনি। 

তিনি আরো বলেন, গত বছর ফুলকপি যখন লাগাই তখন এলাকার অনেক মানুষ হাসাহাসি করেছে। প্রথম দিকে ফসলের অবস্থা ভালো ছিলো না। উপ-সহাকরী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ারের পরামর্শ নিয়ে উপকৃত হয়েছি। বাজারে নেয়ার পর অনেকে বিশ্বাস করছিলেন না এগুলো জমিতে হয়েছে। কেউ কেউ ফুলকপি ধরে দেখেন। অনেকে মনে করেছেন শো-পিস। যারা হাসাহাসি করেন ভালো ফলন হওয়ায় তারাও এখন চাষ করছেন।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, রাসেল হোসেন একজন উদ্যোমী কৃষক। তিনি সবজির চারা বিক্রি, গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও ফুলকপি চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছেন। তাকে দেখে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। আমরা তাকে পরামর্শসহ বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। 

উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল হক রোমেল বলেন, চান্দিনা উপজেলার হারং গ্রামের রাসেল এলাকায় প্রথম গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষ করেন। তার থেকে চারা নিয়ে ছায়কোট, তুলাতলীসহ পাশের কয়েকটি গ্রামের ৫০-৬০ জন কৃষক চাষ করেন। চান্দিনায় ৫ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপির চাষ হয়েছে। আগামীতে বেশি জমিতে চাষ হবে বলে ধারণা করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here