কুমিল্লায় বোরোর মতো আমন মৌসুমেও রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা লাগানো ও কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা হবে। সমলয় পদ্ধতিতে আমন মৌসুমে সবুজে হাসবে ২০০একর মাঠ। কুমিল্লার চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, বুড়িচং.সদর দক্ষিণ ও দেবিদ্বারসহ বিভিন্ন উপজেলায় এই পদ্ধতিতে চাষ করা হবে। সেনিরিখে ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। বেশি চাষ হচ্ছে চান্দিনা উপজেলায়। এতে চাষের খরচ অর্ধেক কমে আসবে। বাড়বে ২০শতাংশ ফসল উৎপাদন।
কৃষি অফিসের সূত্রমতে, চান্দিনার ছায়কোট গ্রামে ৫০শতাংশ জমিতে ৪৫০০টি ট্রেতে ব্রি ৯৫ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। সেই বীজ দিয়ে ৫০ একর জমি রোপণ করা হবে। ছায়কোট, হারং ও তুলাতলী গ্রামের ১০৩জন কৃষক প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ধান চাষ করবেন।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.গোলাম সারোয়ার বলেন, এখানে সমলয় পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো ধান চাষ প্রদর্শনী এসেছে। এখানের কৃষকরা বেশ আধুনিক। তাই তারা সহজেই সাড়া দিয়েছে। খরচ কম দেখে তারা অনেক খুশি। আমরা রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা লাগানো ও কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটায় সহযোগিতা করবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল হক রোমেল বলেন, আমাদের উপজেলায় সমলয় পদ্ধতিতে আমন মৌসুমে প্রথমবারের মতো ধান চাষ করা হবে। বীজতলার অবস্থা ভালো রয়েছে। আশা করছি সমলয় পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে কৃষকরা কম খরচে ভালো ফলন পাবেন। আশা করি এতে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হবেন। আগামী বছর সমলয় পদ্ধতিতে চাষ আরো বাড়বে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আইউব মাহমুদ বলেন, আমন মৌসুমে একমাত্র জেলার চান্দিনায় ৫০একর জমিতে ধান চাষের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। এছাড়া সারা জেলায় আমন মৌসুমে প্রায় দেড়শ’ একর জমিতে কৃষকরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ধান চাষ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।