বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে জোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল।
প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ধরে রাখতে ভারত সরকার সবসময় বাংলাদেশের প্রতি গভীর আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার দুপুরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে সংসদ ভবনে বিজেপির আমন্ত্রণে সফররত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী।
ভারতে সফররত আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
প্রতিনিধিদলে রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত ও মেরিনা হাসান।
ভারতে সফররত আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদল আজ দ্বিতীয় দিনে বৈঠক করেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও জি-২০ সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়ক শ্রীংলার সঙ্গে।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ বৈঠকে রাজনৈতিক ইস্যুসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী পিয়ূষ গোয়েল বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অটুট থাকুক এটাই আমরা চাই। আমরা বাংলাদেশের প্রতি সবসময় সহানুভূতিশীল। বর্তমান সরকারের আমলে যখনই বাংলাদেশের কোন ইস্যু আলোচনায় এসেছে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই তা দেখছি।
দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও অটুট রাখতে একযোগে কাজ করে যাওয়ার ব্যাপারে দুই দেশের নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
এরপর বিকেলে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও জি-২০ সম্মেলনের আহ্বায়ক হর্ষ বর্ধন শ্রীংলার সঙ্গেও তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। এ বৈঠকেও প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়াও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ প্রতিনিধিদলের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় ড. শ্রীংলা বলেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য হলো প্রতিবেশী প্রথম। তার মধ্যে বাংলাদেশ হচ্ছে সবার আগে।
তিনি বলেন, ভারত চায় না বাংলাদেশে কখনো প্রতিক্রিয়া শক্তির উত্থান হউক। বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে তা অন্য সরকারের আমলে দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই বলেই জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। দুই দেশের বন্ধুত্ব সম্পর্ক অটুট রাখতে আমরা কাজ করছি।
এর আগে সকালে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ নয়াদিল্লীর ঐতিহাসিক যুদ্ধ স্মারক জাদুঘর পরিদর্শন করেন।