রাষ্ট্রীয় অতিথিশালার (তোশাখানা) উপহার সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। একইসঙ্গে এক লাখ রূপি জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই ইমরান খানকে গ্রেফতার করে কারাগারে নেওয়া হয়।
ইমরান খানের রাজনৈতি দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় প্রত্যাখান করেছে। এটা ‘পূর্বপরিকল্পিত রায়’ বলে দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।
কোরেশি আরও বলেন, ইমরান খান আগেই বলেছিলেন, জুডিশিয়ারি তাকে গ্রেফতার করতে চায়। কারণ, তারা (ক্ষমতাসীনরা) তাকে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করতে চায়। ৭০ বছর বয়সী ইমরান খানের সঙ্গে কী ন্যায়বিচার করা হলো এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
শাহ মাহমুদ কোরেশি আরও বলেন, পাকিস্তানের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০ এর (১ )এ বলা হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিক ন্যায়বিচার পাবে। ইমরান খানের প্রতি ন্যায়বিচার করা হয়েছে কিনা তিনি সেই প্রশ্ন রাখেন।
রায় ঘোষণার খবর টেলিভিশনে প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ জামানখান পার্কে এসে তাকে গ্রেফতারের জন্য হাজির হয় উল্লেখ করে কোরেশি বলেন, ‘পুলিশ কি রায়ের তথ্য আগে থেকেই জানতো? ইমরান খানের বাড়ির গেট ভাঙা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাড়ির গেট ভাঙার কী প্রয়োজন ছিল?
এদিকে এক বিবৃতিতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আলী মোহাম্মদ খান বলেন, পিটিআই চেয়ারম্যানের প্রতি ন্যায়বিচার করা হয়নি।