সিলেটের বিশ্বনাথে অনাবাদি জমিতে কচু চাষ করে পাঁচ মাসে লাখ টাকা আয় করেছেন সফল কৃষি উদ্যোক্তা লুৎফুর রহমান।
কচু চাষে অল্প সময় ও পরিশ্রমে পুঁজির নয় গুণ মুনাফা হচ্ছে তার। আশানুরূপ ফলন হওয়ায় এ ক্ষেত থেকেই খরচ বাদে লাখ টাকার উপয়ের আয়ের আশা তার। পাশাপাশি চাষবাসের মাধ্যমে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা ও কৃষিকাজে স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি।
এ সময় কৃষক লুৎফুর রহমান জানান, এক বিঘা জমি পরিত্যক্তই ছিল। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহায়তায় কচুর প্রদর্শনী নেই। গেল মার্চ মাসের ২৯ তারিখ জমিতে রোপণ করি ‘বারি পানিকচু-১’ (লতিরাজ) জাতের এক হাজার চারা। ফলন আসতে শুরু করে পরের মাস (এপ্রিল) থেকেই। জুন মাসের শুরুর দিক থেকে আরম্ভ করি লতি বিক্রি। এ পর্যন্ত বিক্রি করেছি ৮৭৫ কেজি। ৪০ টাকা কেজি ধরে মুনাফা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। আগামী এক মাস ওই পরিমাণ বিক্রি হবে লতি। শেষে কচুর মোড়া সর্বনিম্ন ১০টা করে বিক্রি করলেও আয় হবে আরও ৪০ হাজার টাকা। এতে মাত্র ১০ হাজার টাকা খরচ করে ৫ মাসে আমার আয় দাঁড়াবে লাখ টাকায়।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, লতি কচু এমন একটি ফসল যার লতি, পাতা, ফুল ও গাছ সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এটি আয়রনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। ‘জনাব লুৎফুর রহমান উপজেলার একজন অগ্রগামী কৃষক। সে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এর কৃষক গ্রুপের সদস্য। তাকে এ প্রকল্প থেকে লতিরাজ পানি কচুর প্রদর্শনী দেয়া হয়। তিনি প্রকল্পের আর্থিক সহায়তার ও কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রকল্প সফল ভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। আশা করি খরচ বাদ দিয়ে এক লাখ টাকা তার নিট লাভ থাকবে।