জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইসলামের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-১ আসনের জনপ্রিয় নেতা, ঢাকা টাইমস ও সাপ্তাহিক এই সময় সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের জন্য যা করে গেছেন তা আর কেউ করেনি। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছেন। কওমি মাদ্রাসা বোর্ড, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, সারাদেশে মডেল মসজিদ- এমন অনেক কিছু করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি ইসলামের জন্য একমাত্র নিবেদিত রাজনীতিবিদ।’
শনিবার বিকালে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের সূর্য্যগ দারুল হাদিস মাদ্রাসায় বার্ষিক ক্রীড়া ও ইসলামি-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরিফুর রহমান দোলন এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আশরাফুল আলম। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন দারুল হাদিস মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক শাহিদুল আলম।
দারুল হাদিস মাদ্রাসার বিষয়টি উল্লেখ করে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘আজকে যে এরকম একটি প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন দেখে তার বাস্তবায়ন মোল্লা সাহিদ এবং তার ভাইয়েরা ও বন্ধুরা দেখাতে পেরেছেন, এজন্য আমি প্রথমেই তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন বলেই মোল্লা সাহিদের মতো অনেক মোল্লা সাহিদ এই দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করতে পেরেছেন। যদি স্বাধীন বাংলাদেশ না হতো তাহলে এভাবে প্রতিষ্ঠান করা সম্ভব হতো না।’
ঢাকাটাইমসের সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশে ইসলামের জন্য যা করেছেন তা কেউ করেনি, এটা মানতে হবে, জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার সরকার যা করেছেন, অতীতে কেউ তা করেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সেভাবে সমর্থন করলে তবেই আপনাদের এই প্রতিষ্ঠান আরও বড় হবে ইনশাল্লাহ। এই প্রতিষ্ঠান যদি গড়ে তুলতে হয়, আরও বড় করতে হয় তাহলে সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় করা যাবে না। আর সেটা যদি করতে হয় শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই।
আরিফুর রহমান দোলন বলেন, স্বাধীন-বাংলাদেশ হওয়ার পর আজ যেটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সেই উদ্যানের নাম ছিল রেসকোর্স ময়দান। ঘোড়া দৌড় হতো, জুয়া খেলা হত, অসামাজিক কাজ হতো। ইসলামপ্রিয় ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু সেই ময়দানের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দিয়েছেন ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান’। আজকে তুরাগ নদীর তীরে যে বিশ্ব ইজতেমা হয়, এই ১৬০ একর জমি কে দান করেছেন? বঙ্গবন্ধু। তাহলে ইসলামের জন্য কে করেছেন? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কন্যা।’
তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সারা বিশ্বের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। এজন্য বলি ইসলামের জন্য একমাত্র নিবেদিত রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনা। এজন্য তাকে সমর্থন জানাতে হবে, আগামীতে তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে এই মাদ্রাসা অবশ্যই আরও অনেক বড় হবে। আমরা সবাই সহযোগিতা করব।
ঢাকাটাইমসের সম্পাদক বলেন, আজ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদেরকে গড়ে তুলতে হবে।
সোনার বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কিছু কুচক্রি নষ্ট করতে চায় মন্তব্য করে দোলন বলেন, এজন্য আমাদেরকে সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে আমরা আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারলে অবশ্যই এই মোল্লা সাহিদের এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন তো বাস্তবায়ন হবেই, আরও বড় বড় প্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলে আসবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বোয়ালমারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক শিকদার, বন্ডপাশা হাজেরা মকবুল কলেজের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আনিচুর রহমান, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা শওকত হোসেন, ট্রান্সকম গ্রুপের সচিব রোহান মিয়া, শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইস্রাফিল মোল্যা প্রমুখ।