বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে সৌজন্যহীনতার সীমাও লঙ্ঘন করেছেন ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। তার এই আচরণ নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশেই তুমুল সমালোচনা হয়েছে। আইসিসি তাকে মাঝারি শাস্তিও দিয়েছে। ভারতী ক্রিকেট বোর্ড এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নারী ক্রিকেটে অন্যতম সেরা এই ব্যাটারের এমন আচরণে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন।
জ্যোতি আরো বলেছেন, ‘একই আম্পায়ারেরা টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন। সেই সিরিজ ভারত জিতেছিল। সেই সিরিজে যথেষ্ট হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা আরও একটু ভাল খেললে জিততেও পারতাম। তখন কিন্তু ভারতীয় দল কোনও অভিযোগ করেনি আম্পায়ারিং নিয়ে। ওরা জিতেছিল বলেই কি অভিযোগ করেনি? খেলোয়াড় হিসাবে আমি মনে করি আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং তাঁদের সিদ্ধান্ত সম্মান করা উচিত। তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে ভারত জিতলেও কি আম্পায়ারিং নিয়ে ওরা এত অভিযোগ করত? ওরা সিরিজ জিততে পারেনি বলেই হয়তো আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। হতে পারে হতাশার থেকেই এ রকম করেছে হরমনপ্রীত।’
নিজে আউট হওয়ার পরে স্টাম্প ভেঙেছিলেন হারমানপ্রীত। পুরস্কার দেওয়ার সময় এবং ছবি তোলার সময়ও অমার্জিত আচরণ চালিয়ে গিয়েছিলেন। ট্রফি নিয়ে দু’দলের ক্রিকেটারেরা যখন ছবি তুলছিলেন, তখন তিনি ভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে বলেছিলেন, আম্পায়াররাও আসুক, ওরা তো বাংলাদেশ দলেরই অংশ।