প্রযুক্তি নির্ভর নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠায় ঋণপ্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ‘সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক’-এ লালবাতি জ্বলেছে। অব্যবস্থাপনায় মূলধন একেবারেই কমে যাওয়ায় শুক্রবার ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে ফেডারেল ডিপোজিট ইন্সুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি)।
বিশ্বের তথ্য-প্রযুক্তির রাজধানী হিসেবে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সিলিকন ভ্যালিতে এই ব্যাংকের কর্তৃত্ব গ্রহণের সংবাদে শিল্প-কারখানায় এক ধরনের হতাশা নেমে এসেছে। ব্যাংকের গ্রাহকেরা অজানা আতঙ্কে নিমজ্জিত হয়েছেন বলে সকল গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। এই ব্যর্থতার জের হিসেবে অচিরেই আরও কয়েকটি ব্যাংকে তালা ঝুলতে পারে বলে অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এমন অবস্থার প্রভাব পড়েছে মেয়ার মার্কেটে। উদ্বেগ-আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায়। আর এর জের গোটাবিশ্বে অর্থনৈতিক সেক্টরে বাজে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, শুক্রবার ব্যাংকের গ্রাহকেরা ডলার উঠাতে গিয়ে জানতে পারেন যে, কোষাগারে অর্থ নেই। অথচ এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে ১৬তম বৃহত্তম ব্যাংক। তবে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে ট্রেজারি সেক্রেটারি (অর্থমন্ত্রী) জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, অস্থির হবার কোনও কারণ নেই। ব্যাংকিং সিস্টেম তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে সক্ষম। একই অভিমত পোষণ করেছেন বিশ্বখ্যাত ‘দ্য ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল’র আন্তর্জাতিক ব্যবসা সংক্রান্ত পর্যালোচক ড. ফাইজুল ইসলাম।
১০ মার্চ রাতে ড. ফাইজুল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ব্যাংকের মধ্যে একটিমাত্র বন্ধ হয়ে গেলে তার প্রভাব ব্যাংকিং সেক্টরকে তেমন একটা নাড়া দেবে বলে মনে করি না। তবে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের এই নাজুক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকিং সেক্টরের শীর্ষ নীতি-নির্ধারকদের সাথে শুক্রবার বৈঠক করেছেন। ফেডারেল রিজার্ভ এবং এফডিআইসি’র কর্মকর্তারা কংগ্রেসম্যানদের ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান (ডেমক্র্যাট)ম্যাক্সিন ওয়াটারস এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসম্যান ম্যাক্সিন হচ্ছেন প্রতিনিধি পরিষদের অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য।