ইউক্রেনে পাঠানো অস্ত্র ও সামরিক উপকরণের কিছু অংশ নিয়মিত চুরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।ইভ্যালুয়েশন অব ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’স (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়) অ্যাকাউন্টিবিলিটি অব ইকুপমেন্ট প্রোভাইডেড টু ইউক্রেন নামের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর জুন মাসে মার্কিন একটি অস্ত্রের চালান থেকে বেশ কয়েকটি গ্রেনেড লাঞ্চার, মেশিন গান এবং এক হাজারেরও বেশি রাউন্ড গোলাবারুদ চুরি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনীতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগ দেওয়া একদল যোদ্ধা।
একই মাসে ইউক্রেনীয় অপরাধীদের আর একটি চক্র বেশ কিছু বুলেটপ্রুফ ভেস্ট চুরি করেছে, যেগুলোর সম্মিলিত দাম অন্তত ১৭ হাজার ডলার। এই ভেস্টগুলো কিয়েভেকে পাঠিয়েছিল তার ইউরোপীয় মিত্ররা।
এর পর আগস্টে ইউক্রেনীয় বাহিনীতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগ দেওয়া একটি দলের সদস্যরা অন্তত ৬০টি রাইফেল এবং প্রায় ১ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ চুরি করে বাহিনী থেকে পালিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পেন্টাগনের প্রতিবেদনে।
ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা প্রদান ও তা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কমিটি ইউএস অফিস অব ডিফেন্স কোঅপারেশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, যুদ্ধের শুরু থেকেই সহায়তা হিসেবে পাঠানো সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের কোনো হিসেব তারা মেলাতে পারছেন না। প্রত্যেক চালান থেকেই কিছু অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম খোয়া যাচ্ছে।
কারা এই চুরি করছে, সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন ডিফেন্স কোঅপারেশনের সদস্যরা, কিন্তু কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেননি।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, ইউক্রেনের কিছু অসাধু সরকারি ও সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধী গ্রুপ, স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা এবং অস্ত্রের চোরা কারবারিদের যোগসাজশেই ঘটছে এসব চুরির ঘটনা। সূত্র: সিএনএন