গত মে মাসে থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচেন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে নেতৃত্ব দেন পিটা লিমজারোয়েনরাত। তার নেতৃত্বেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে দলটি। বর্তমানে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন পিটা লিমজারোয়েনরাত। তবে তার এমপি পদ স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
জানা গেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর পিটার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল। তবে গত সপ্তাহে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে যে ভোটাভুটি হয়— সেখানে পর্যাপ্ত ভোটের অভাবে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি তিনি। এরপর আজ বুধবার আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই পিটার এমপি পদ স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে পিটার বিরুদ্ধে যে মিডিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার কথা বলা হচ্ছে, সেটির সম্প্রচার ২০০৭ সাল থেকেই বন্ধ আছে।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন পিটার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনে এবং তার এমপি পদ বাতিল চেয়ে আবেদন করে। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সাংবিধানিক আদালত অস্থায়ীভিত্তিতে তার এমপি পদ স্থগিত করেছেন।
দেশটির উচ্চ আদালত বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের আবেদনটি আমলে নিতে ৯ সদস্যের বেঞ্চের সাতজন পক্ষে ও দু’জন বিপক্ষে ভোট দেন। আদালত নির্দেশ দেন, “১৯ জুলাই থেকে সাংবিধানিক আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত পিটার এমপি পদ স্থগিত থাকবে।”
এদিকে থাইল্যান্ডের সংবিধান অনুযায়ী পিটা এখনও প্রধানমন্ত্রী পদে লড়তে পারবেন। কিন্তু তাকে নিম্নকক্ষ থেকে পদত্যাগ করতে হবে এবং তিনি কোও ভোট প্রদান করতে পারবেন না।
গত এক যুগ ধরে থাইল্যান্ডে চলছে সেনা সমর্থিত সরকারের শাসন। কিন্তু সর্বশেষ নির্বাচনে সেনা সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে দেশটির সাধারণ জনগণ। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা, সিএনএন