অনুমতি ছাড়াই ঢুকে পড়ায় এক মার্কিন সেনা সদস্যকে আটক করেছে উত্তর কোরিয়া। তার নাম ট্রাভিস কিং।
পরমাণবিক অস্ত্র নিয়ে উত্তেজনার মাঝেই বেসামরিক এলাকা দিয়ে ওই মার্কিন সেনা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ার ভেতরে ঢুকে পড়েন।
সেকেন্ড র্যাংকের প্রাইভেট সেনা ট্রাভিস কিং এর আগে দুই মাস দক্ষিণ কোরিয়ার কারাগারে আটক ছিলেন। গত সোমবার টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিসের বাড়িতে পাঠানোর প্রক্রিয়ার মাঝে ছিলেন তিনি। দেশে ফিরলে আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপের সম্মুখীন হতেন ট্রাভিস।
ট্রাভিসকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানবন্দর ত্যাগ করে কোরিয়ান সীমান্ত গ্রাম পানমুনজোমে যৌথ নিরাপত্তা অঞ্চলের সফরে যোগ দেন।
মঙ্গলবার বিকালে বেসামরিক নাগরিকসহ একদল দর্শনার্থীর সঙ্গে সফর করার সময় তিনি সীমান্ত পেরিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাভিস কিং উচ্চস্বরে হাসতে হাসতে ওই এলাকায় ঢুকে পড়েন। প্রথমে ভাবা হয়েছিল, তিনি মজা করছেন। কিন্তু পরে আর ফিরে আসেননি।
পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে তুমুল উত্তেজনার মধ্যে এ ঘটনা হোয়াইট হাউজের জন্য একটি নতুন মাথাব্যথা তৈরি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, তাদের ধারণা ওই সেনা উত্তর কোরিয়ার হেফাজতে রয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করছি। ট্রাভিসের সুস্থতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন বলেও জানান তিনি।
তবে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এ বিষয়ে কোনও তথ্য দেয়নি এখনো।
ওই বেসামরিক অঞ্চল জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান করে আসছে। সংস্থার কমান্ড জানায়, একজন মার্কিন নাগরিক ‘অনুমোদন ছাড়াই’ সীমান্ত অতিক্রম করেছে ও তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আমেরিকান বা দক্ষিণ কোরিয়ানদের উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার ঘটনা বিরল। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালে সংঘটিত কোরিয়ান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক নিপীড়ন ও অর্থনৈতিক দুর্ভোগ এড়াতে ৩০ হাজারেরও বেশি উত্তর কোরিয়ান দক্ষিণে পালিয়ে যান।
যুদ্ধ শেষে ডিমিলিটারাইজড জোন বা ডিএমজেড-এর ভেতরে তৈরি হয় পানমুনজোম। জাতিসংঘের কমান্ড ও উত্তর কোরিয়ার তত্ত্বাবধানে থাকা ওই এলাকায় কোনও বেসামরিক মানুষ বাস করেন না। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান