ঢাকা কলেজ অ্যালামনাইদের আনুষ্ঠানিক মিলনমেলা শুরু হলো সিডনির রকডেলের হিমালয় রেস্টুরেন্টে। কোনো ডাটাবেজ না থাকায় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ঢাকা কলেজ অ্যালামনাইদের একসাথে জড়ো করা কঠিন হলেও অন্তত সিডনিতে প্রথমবারের মতো সেই কাজটি সম্ভব হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজ অ্যালামনাই পরিবার বসেছিল একসাথে গল্প ও আড্ডায়, যেখানে ছিলেন ১৯৬৫ সাল থেকে ২০০২ সালের কলেজ অ্যালামনাইরা। অনেকেই ফিরে পেয়েছেন তাদের ব্যাচের অ্যালামনাইদের, যাদের ফেলে এসেছিলেন কয়েক যুগ আগে কলেজ জীবনে।
এছাড়া প্রফেসর ড. আলী কাজী তুলে ধরেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদের ভাষা আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে অসংখ্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাস। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরের প্রজন্মের মধ্য থেকে ঢাকা কলেজ ছাত্রদের হোস্টেল জীবন, শিক্ষক ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ নিয়ে কিছু রসাত্মক স্মৃতিচারণ করেন লরেন্স ব্যারেল।
আয়োজক ও অ্যালামনাইদের ক্রেস্ট প্রদান পর্বটি ছিল চমৎকারভাবে সাজানো। অ্যালামনাই ক্রেস্ট গ্রহণের পাশাপাশি কলেজ জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু কথা বলতে গিয়ে আবেগআপ্লুত হয়ে ওঠেন কেউ কেউ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল কলেজ অ্যালামনাইদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে গান পরিবেশন করে সিডনির নামকরা শিল্পীদের মধ্যে সিরাজুস সালেকিন, অনুপম গোস্বামী, আকম ফারুক, মামুন হাসান খান ও অমিয়া মতিন। আবৃত্তি করেন শাহীন শাহনেওয়াজ, আজাদ আলম, শাহরিয়ার ইমতিয়াজ চৌধুরী। আর গানের তালে তালে নাচে নতুন প্রজন্মের শিশু ফারজান জামান।
অনবদ্য ও সুশৃঙ্খল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বটি খুবই উপভোগ্য ছিল। অনুষ্ঠানটি চমৎকারভাবে সঞ্চালনা করেন পাভেল দেওয়ান। মেলবোর্ন, ক্যানবেরা, পার্থ, ব্রীজবেন ও এডিলেড থেকেও অনেক অ্যালামনাইরা সারা দিয়েছেন অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে। কিন্তু সময়ের স্বল্পতার জন্য অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দিতে পারেননি। অনুষ্ঠানের সর্বশেষ পর্বে ছিল সব অ্যালামনাইদের নিয়ে কেক কাটা এবং একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার মাধ্যমে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অদূর ভবিষ্যতে বড় ভেন্যু এবং পর্যাপ্ত সময় নিয়ে অ্যালামনাইদের আমন্ত্রণ জানিয়ে পরবর্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানিয়ে সমাপ্তি টানা হয় অনুষ্ঠানটির।