বৃষ্টি-পানি-মাছ নেই, বিক্রিও নেই

0

‘বৃষ্টি নেই, পানি নেই, মাছ নেই, ফলে বাইর বিক্রি হচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টিতে খেতে পানি না জমলে মাছ অইবো কেমনে। বর্ষাকালে রোদে খা খা করে। কয়েক ছিটা বৃষ্টি অয় খেতে পানি জমে না।’ 

মাছ ধরার ষড়ঞ্জাম বিক্রেতা শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরশহরের খালভাঙা এলাকার রমজান আলী (৩৫) এ কথা বলেছেন।

বিক্রেতা রমজান আলী জানান, তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নালিতাবাড়ী বাজারে এই ব্যবসা করে আসছেন। তিনি বলেন, আগে বর্ষার শুরুতে নদ-নদী, খাল বিলে পানিতে থৈ থৈ করত। আর স্রোতের বিপরীতে দেশিয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ দেখা যেত। বাজারে দেশিয় তৈরী এসব যন্ত্র কেনার ধুম পড়ে যেত। 

আরেকজন বিক্রেতা খালভাঙা এলাকার আব্দুল লতিফ (৪৫) বলেন, আগে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে স্থানীয় ভাবে এসব বাঁশের জিনিষ তৈরি হলেও বাঁশ, সুতাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এগুলো আর তৈরি হয় না। এখন ঝিনাইগাতী উপজেলা থেকে পাইকারী দরে কিনে এনে বিক্রি করে। লাভ সীমিত হলেও দীর্ঘ দিনের পেশা ছাড়তে পারেননি। 

তিনি আরো বলেন, এখন কারেন্ট জালের কারণেও বিক্রি কমে গেছে। সরকার এই জাল বিক্রি বন্ধ করতে না পারলে দেশীয় সব মাছ এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

বিক্রেতারা জানান, মাছ ধরার এসব দেশি যন্ত্রের এলাকা ভেদে বিভিন্ন নাম রয়েছে এবং খুচরা বিক্রিও আলাদা আলাদা। বর্তমানে বাজারে প্রতিটি ছোট বাইর ৫০ থেকে ১৫০ টাকা, বড় বাইর ৬৫০ থেকে ১২ শত টাকা। টেপা ২৫০ টাকা, পলই ৮০ থেকে ২শত টাকা, খারি ১২০ থেকে ২৫০টাকা ও খলনী বা খালই ২৫ টাকা থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here