চীনের ধনকুবেরদের গায়েব হওয়া অব্যাহত রয়েছে। এবার জানা গেছে চীনের প্রযুক্তি শিল্পের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত ধনকুবের বাও ফ্যান গত মাস থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
চায়না রেনেসাঁ হোল্ডিংসের প্রতিষ্ঠাতা বাও ফ্যান। তার গ্রাহকদের তালিকায় আছে ইন্টারনেট জায়ান্ট টেনসেন্ট, আলীবাবা ও বাইদু। তাকে চীনের প্রযুক্তি খাতের একজন টাইটান হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।
তবে এ বিষয়ে চীন সরকারের পক্ষ থেকে আগের মতোই কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে আলীবাবার প্রধান জ্যাক মা’ও নিখোঁজ হয়েছিলেন ঠিক একই তরিকায়।
একের পর এক ধনকুবের নিখোঁজ হওয়ার এই ঘটনাগুলোকে অনেকেই চীনের অর্থনীতির ওপর শি জিনপিংয়ের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কৌশল হিসেবে বিবেচনা করছেন।
শুধু ২০১৫ সালেই অন্তত পাঁচজন নির্বাহী উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে শিল্পগোষ্ঠী ফসুন ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান জু গুয়াংচ্যাঙও ছিলেন। ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব উলভারহ্যাম্পটনের মালিক ছিলেন তিনি। সেই নিখোঁজের পরও তার কোম্পানি বলেছিল, ‘তারা কর্তৃপক্ষের একটি তদন্তে সহায়তা করছে।’
এর দুই বছর পর চীনা-কানাডিয়ান ব্যবসায়ী জিয়াও জিয়ারহুয়াকে হংকং থেকে তুলে নেওয়া হয়। গত বছর দুর্নীতির দায়ে তার কারাদণ্ড হয়েছে।
২০২০ সালের মার্চে প্রেসিডেন্টকে ক্লাউন বলে নিখোঁজ হয়েছিলেন রিয়েল এস্টেট টাইকুন রেন ঝিকিয়াং। পরে এক দিনের বিচারে দুর্নীতির অভিযোগে রেনকে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তবে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছিল আলীবাবার জ্যাক মা’র ঘটনা। দেশটির কমন প্রসপারিটি ফান্ডে ১০ বিলিয়ন ডলার দেওয়া ছাড়া প্রায় দুই বছর তাকে দেখা যায়নি। যদিও তার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
জ্যাক মা কোথায় আছে পরিষ্কারভাবে এখনো তা জানা যায়নি। যদিও মাঝখানে তিনি জাপান, থাইল্যান্ডে বা অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন বলে খবর বেরিয়েছিল।
এর আগে বেইজিংয়ের মূল দৃষ্টি ছিল সামরিক, ভারী শিল্প ও স্থানীয় সরকারের ওপর। শি জিনপিং এবার অর্থনীতির আরো খাত নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দিকে নজর দিয়েছেন। তার `কমন প্রসপারিটি পলিসিকে’ দেখা হয় অর্থনীতির ওপর বড় ধরণের অভিযান হিসেবে।
সূত্র: বিবিসি